দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আরো ২ হাজার ৮৮৪ জন কারাবন্দিকে মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে দুই দফায় ৫৫৫ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বাকি ২ হাজার ৩২৯ জনকে মুক্তির ব্যাপারে জেলারদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

কারাবন্দিদের তালিকা দেশের ৬৮টি কারাগারে পৌঁছেছে।’ কারাবন্দির মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৯৫৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের ৭৭, চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৫৪, সিলেট বিভাগের ৬৯, খুলনা বিভাগের ১৫৮, বরিশাল বিভাগের ৯৭, রাজশাহী বিভাগের ৪২৩ ও রংপুর বিভাগের ১৯৮ জনকে মুক্তি দেওয়ার চিঠি ইতোমধ্যে পৌঁছেছে।’

শনিবার (৯ মে) কারা অধিদপ্তরের এআইজি মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রথম দুদফায় আমরা ৫৫৫ কারাবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত ধাপে, আগামী সোমবারের ভেতরে ২ হাজার ৩২৯ কারাবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়ার কাজ প্রায় শেষ। কারা অধিদপ্তরের ডিআইজি অফিসের মাধ্যমে মুক্তি দেওয়া হবে এমন

মঞ্জুর হোসেন আরো বলেন, ‘দেশের ১৩টি সেন্ট্রাল জেল ও ৫৫টি জেলা কারাগারের জেলারদের কাছে গতকালই এই তালিকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। জেলাররা কয়েদিদের মুক্তি দেওয়ার কাজও এগিয়ে নিচ্ছেন। এ ২ হাজার ৩২৯ জনের মধ্যে কিছু কয়েদিকে এরই মধ্যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বাকিরা আগামী দুদিনের মধ্যে মুক্তি পেয়ে যাবেন। তবে যাদের জরিমানার টাকা বাকি, তাদের ছাড়তে একটু দেরি হতে পারে। আর জরিমানার টাকা পরিশোধ করলে তারাও দুদিনের মধ্যে মুক্তি পাবে।’
এর আগে গত ৪ মে সোমবার কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজনস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে মোট দুই হাজার ৮৮৪ জন লঘু দণ্ডপ্রাপ্ত কারাবন্দিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ভেতরে ৫৫৫ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
এসব বন্দি সর্বোচ্চ এক বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তাদের মধ্যে কারো সাজা প্রায় শেষের দিকে, কারো সাজা অর্ধেক হয়েছে। আমরা চাচ্ছি, কারাগার ফাঁকা হোক, লঘু অপরাধী বয়স্করা মুক্তি পাক। এখন কারাগার যত ফাঁকা হবে, তত ভালো।’ # কাশেম