সর্বশেষঃ
বনানীতে ৩ রেস্তোঁরাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা, ভুয়া ঠিকানায় ট্রেড লাইসেন্স উন্নয়নকাজে সমন্বয়হীনতায় সরকারি অর্থের অপচয় গৃহায়নের প্রকৌশলী আলম ঘুষের দেড় লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার বছিলায় সরকারি খালে নির্মাণাধীন  ৬টি বড় স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছেন ডিএনসিসির মেয়র ডিএসসিসির ১ ইঞ্চি জমিও আর কেউ অবৈধভাবে দখলে রাখতে পারবে না মেয়র তাপস  RAJUK Employee Management System (REMS)-বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত ডেঙ্গু মোকাবিলা করা বড় চ্যালেঞ্জ : মেয়র আতিকুল ইসলাম শেখ হাসিনাকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট ও জর্জিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন শিশু আয়ানের মৃত্যু, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রিপোর্ট হাস্যকর : হাইকোর্ট ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:৫৪ অপরাহ্ন

স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ঢাকার দুই সিটির মাঠের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা. বিশেষ ঝুঁকিভাতা ও প্রণোদনার বিষয়টি অনিশ্চিত

আবুল কাশেম, দূরবীণ নিউজ :
করোনাভাইরাসের হিংস্রতা থাবায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মাঠের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। আর এই ঝুঁকির মধ্যেই নগরবাসীর নিয়মিত সেবার পাশাপাশি বিশেষ সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন তারা। তবে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী বিশেষ ঝুঁকিভাতা ও প্রণোদনা পাবার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হতে পারছেন না তারা । আর এনিয়ে তাদের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

এদিকে গত ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩১ দফা নির্দেশনার মধ্যে একটি হলো, কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় নিয়োজিত সব চিকিৎসক, নার্স, ল্যাব টেকনিশিয়ান, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, অ্যাম্বুলেন্সচালকসহ সংশ্লিষ্ট সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষ অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে।
অপরটি হলো, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম নিশ্চিত করা। সারা দেশের সব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে।

বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে করোনা ঝুঁকিতে রয়েছেন ঢাকা শহর। প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমনের শঙ্কার মধ্যেই মাস্ক, গ্লাভসসহ কোন ধরণের সুরক্ষা উপকরণ ছাড়াই আবর্জনা সংগ্রহ ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালাচ্ছে তারা। পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা আক্রান্ত হলে নগরবাসীও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বেন বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।

ছবিতে -ঢাকা উত্তর সিটিতে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের বিষয়ে নিদেশনা দিচ্ছেন উপ প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা জনাব মফিজুর রহমান ভূইঁয়া

ঢাকা উত্তর সিটির ভারপ্রাপ্ত মেয়র জামাল মোস্তফা ‘ দূরবীণ নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে’ বলেন, ‘আমি নিজেও জীবনের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে নগরবাসীর সেবা করে যাচ্ছি । কারণ নগরবাসীর সেবা করার দায়িত্ব নিয়েছি।

তিনি কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা প্রসঙ্গে বলেন, ঝুঁকিভাতা ও বিশেষ আর্থিক সুবিধার জন্য শ্রমিক কর্মচারী লীগ, পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সংগঠন এবং পরিবহন চালক ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে বিশেষ অর্থ বরাদ্দ ও সিদ্ধান্তের জন্য নথি পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ ছাড় ও সিদ্ধান্ত পাবার সাথে সাথে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে তাদের ন্যায্য পাওনা প্রদান করা হবে।

তিনি বলেন, ডিএনসিসির নির্বাচিত মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং আমি (জামাল মোস্তফা) সব সময় কর্মকর্তা ও কর্মচারীর স্বার্থেকে বড় করে দেখি। করোনা ভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে সাধ্য মত প্রয়োজনীয় জুতা, মাস্ক, গ্লাভস ও স্যানিটাইজার দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ডিএনসিসির ‘টপ টু বটম’ সবাই আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ ছাড়সহ নির্দেশনা পেলেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আথিক সহায়তা দেওয়া হবে ইনশাল্লাহ ।

কেউ বাদ নেই ঢাকা দুই সিটির মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সচিব, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, প্রধান প্রকৌশলী, বিভাগীয় প্রধান, অতিরিক্ত প্রধান, উপ প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেকেই করোনার ঝুঁকি নিয়েই মাঠে ময়দানে বেশ সক্রিয় রয়েছে। আবার অনেকে অফিসে কিংবা বাসায় বসেও মাঠের চলমান কার্যক্রম তদারকি করছেন। বলতে গেলে কেউ বসেনেই। সবাই কাজে ব্যস্ত রয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটির নির্বাচিত ও বয়স্ক মেয়র মো. অতিকুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. জামাল মোস্তফা বলতে গেলে ৪০ বছরের যুবকের মতো মাঠে ময়দানে সকাল- বিকাল ছুটে বেড়াচ্ছেন। অথচ তাদের মনে ক্লান্তির কোনো ছাপ নেই।

অনুরুপ ঢাকা দক্ষিনের মেয়র সাঈদ খোকনও তার কর্মকর্তাদের নিয়ে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের পাশাপাশি ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছন। ঢাকা দক্ষিণের অধিকাংশ বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ত্রাণ বিতরণ কাজে ব্যস্ত রাখা হয়েছে। তবে ঢাকা দক্ষিণের নির্বাচিত মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপসকে নগরীতে ত্রাণ বিতরণ সংক্রান্ত কাজে তেমন একটা দেখা যায় না।

তবে খোজঁ নিয়ে যানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর এই দির্দেশনার আগ থেকেই ঢাকার দুই সিটিতে পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মী, কর্মকর্তা – কর্মচারী এবং অন্যান্য বিভাগের লোকজনও ঢাকা শহরের রাস্তা, ফুটপাত, অলিগলি, কাাঁচাবাজার, মাঠ ঘাট ঝাড়ু দেওয়া এবং বাসাবাড়ি ও হাসপাতালের জমানো আর্বজনা নিয়মিত অপসারণ কার্যক্রম আরো বাড়িয়েছেন। কিন্ত সিটি করপোরেশনের লোকজনের নিরাপত্তার তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। কাপড়ের তৈরি সাদামাটা মাস্ক, গায়ে দেওয়ার জন্য কাপড়েরর হাফ আতা গাউন আর গ্লাভস ,হাতেগোনা কিছু লোককে জুতা দেওয়া হয়েছে। আর এটিএস’র ভেতরে কর্মরতদের অতিরিক্ত রেইন কোর্ট দেওয়া হয়েছে।

আরো জানা যায়, ঢাকা দুই সিটিতেই সরকারি ভাবে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আবার নগরীতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার, রাস্তা- অলি গলিতে রুটিন অনুযায়ী জীবানু নাশক পানি ছিটিয়ে ধুইয়ে পরিস্কার করা, মশক নিধন কার্যক্রম এবং কর্মহীন অসহায় লোকজনের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম তদারকির জন্য ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

প্রতিটি আঞ্চলিক পর্যায়ে আবার তদারকির কমিটিও গঠন করা হয়েছে। ফলে ছুটির মধ্যেও বেশিরভাগ কর্মকর্তা ও কর্মচারী জীবনের ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মাঠে ময়দানে ছুটে বেড়াচ্ছেন। ফলে এই সব কর্মকর্তা- কর্মচারীরাও তাদের পরিবারের সদস্যদের এক ধরনের ঝুকিতে ফেলছেন। আবার অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নিজস্ব যানবাহন না থাকায় কষ্ট করে রিকশায় কিংবা পায়ে হেটে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক নিয়মিত ডিউটি করে যাচ্ছেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সংগঠন ‘ স্ক্যাভেঞ্জার এন্ড ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের’ সাধারণ সম্পাদক আবদুল লতিফ “দূরবীণ নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জীবনের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে ভোর রাত থেকে নগরীতে ময়লা আর্বজনা পরিস্কার শুরু করে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। নগরীকে ধুইয়ে মুছে পরিস্কার রাখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত বিশেষ প্রনোদনা ও ঝুঁকিভাতার বিষয়ে এখনো কর্তৃপক্ষ কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। ইতোমধ্যে মেয়রের বরাবর আবেদন জানানো হয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির নাম না  প্রকাশের শর্তে একজন বিভাগীয় প্রধান বলেন, ঝুঁকিভাতা ও বিশেষ আর্থিক সুবিধার জন্য পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সংগঠনসহ আরো অনেকেই আবেদন জানিয়েছেন। এইসব আবেদনগুলোর বিষয়ে অর্থ বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রলালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে ডিএসসিসির নিজস্ব ফান্ড থেকে আপাতত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। # কাশেম


আপনার মতামত লিখুন :

One response to “স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ঢাকার দুই সিটির মাঠের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা. বিশেষ ঝুঁকিভাতা ও প্রণোদনার বিষয়টি অনিশ্চিত”

  1. মোঃ আক্তারহোসেন says:

    আমরা যদি এই মহামারি করোনা ভাইরাসের সাথে যখন যুদ্ধ করে কাজ কর্ম চালাতে পারি,তাহলে মনে রাখবেন এই রাস্তা ঘাটও আমরা বন্ধ করার ক্ষমতা ও রাখি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন কর্মীর কান্না আপনার কানে কেন পৌছাচ্ছে না তা আমরা জানি না কিন্তু এই পরিশ্রমের দোহাই দিয়ে বলতে চাচ্ছি আমরা এই শহরকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে থাকি দয়া করে আমাদের ৮৫০০ কর্মীর বুক ফাটা কান্নার দিকে তাকিয়ে আমাদের সকল সুযোগ সুবিধা দিতে বাধ্য থাকিবেন। আমি মোঃ আক্তারহোসেন
    মোবাইল নং ০১৬৮০৪৩৭৭২৬
    দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এর স্টাফ
    অঞ্চল ৩ ওয়ার্ড ২২

Leave a Reply

Your email address will not be published.


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৫৬ পূর্বাহ্ণ
  • ১২:১১ অপরাহ্ণ
  • ৪:২৬ অপরাহ্ণ
  • ৬:১১ অপরাহ্ণ
  • ৭:২৪ অপরাহ্ণ
  • ৬:০৭ পূর্বাহ্ণ

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12