রূপালী ব্যাংকের মুন্সিগঞ্জ নওপাড়া শাখার সহকারী কর্মকর্তা ইউসুফ শেখের বিরুদ্ধে ৬১ লাখ ৭৯ হাজার টাকা তছরুপ ও আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দুদকের উপ-পরিচালক মো. আহসান উদ্দিন বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় নারায়ণগঞ্জে এই মামলা করেন।মামলায় আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগআনাহয়েঝে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ইউসুফ শেখ ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অপকৌশলে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ ও অপরাধমূলক অসদাচরণ করে ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর ব্যাংক থেকে ৬১ লাখ ৭৯ হাজার টাকা তছরুপ করেন। তিনি ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ওই ব্রাঞ্জে কর্মরত ছিলেন।

২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে শাখার সহকারী কর্মকর্তা (গ্রেড-২) হিসেবে যোগদান করেন। শাখার নগদ অর্থ গ্রহণ ও প্রদান সংক্রান্ত কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত একমাত্র ক্যাশিয়ার আসামি ইউসুফ শেখ ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর দায়িত্বরত অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৩টায় চা খাওয়ার কথা বলে শাখা থেকে পালিয়ে যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে শাখা ব্যবস্থাপকের সন্দেহ হলে তিনি শাখার দ্বিতীয় কর্মকর্তা মো. সিফাত আহসান ও জাকির হোসেনকে ক্যাশ মিলিয়ে দেখতে মৌখিকভাবে নির্দেশনা দেন।

প্রাথমিকভাবে ক্যাশে প্রায় ৬১ লাখ ৭৯ হাজার টাকার ঘাটতি পাওয়া যায়। বিষয়টি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিক জানানো হলে ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক ও জোনাল প্রধান মো. মইনউদ্দিন মাসুদ, এজিএম মো. ফজলুর রহমান চৌধুরী, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আশরাফুল আলম ও শাখা প্রধান মিজানুর রহমান রানার সমন্বয়ে গঠিত প্রাথমিক তদন্ত কমিটি কাগজপত্র পরীক্ষা ও তদন্ত করে এই টাকা আত্মসাতের সত্যতা পায়। পরে শাখা ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান রানা ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর লৌহজং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

পরে এ অভিযোগটি দুদকের তফসিলভুক্ত হওয়ায়,দুদকে অনুসন্ধান করে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। দুদক অনুসন্ধান শেষে ২৭জুলাই মামলাটি দায়ের করেছে এবং মামলাটি তদন্তও দুদকের কর্মকর্তারা করবেন।