দূরবীন রিউজ প্রতিবেদক :
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র (ডিএনসিসি) মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, “সিটি কর্পোরেশনের কোন মাঠে কোন ধরনের মেলা হবে না। খেলার মাঠে মেলার অনুমতি দেব না। এগুলো তোমরা (শিশু-কিশোর) ব্যবহার করবে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর )দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শিশু-বান্ধব শহর গড়ার লক্ষ্যে ডিএনসিসির নগর ভবনে কিশোর-কিশোরীদের সাথে “আমরাও বলতে চাই” শীর্ষক এক সংলাপে অংশ নিয়ে মেয়র এই প্রতিশ্রুতি দেন।
সংলাপে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির নির্বাহী কর্মকর্তা সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার সাঈদ আহমেদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর মঞ্জুর আহমেদ, ইউনিসেফ এর নগর বিশেষজ্ঞ শামীমা সিদ্দিকী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকা থেকে, বিশেষ করে সুবিধা বঞ্চিত কিশোর-কিশোরীগণ এ সংলাপে অংশগ্রহণ করেন। কিশোর-কিশোরীরা পরিবেশ দূষণ, শিশুশ্রম, খেলার মাঠ, নিরাপত্তাহীনতা, স্বাস্থ্যসেবা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ পানি, বস্তির আবাসন ইত্যাদি বিষয়ে মেয়রের কাছে দাবি তুলে ধরেন।
মোহাম্মদ হাসান নামে একজন কিশোর সিটি কর্পোরেশনে পর্যাপ্ত খেলার মাঠ নেই এবং যা আছে সেগুলোও মেলার কারণে দখল হয় জানালে মেয়র বলেন, যদি কোথাও কেউ সমস্যা করে, তোমাদের খেলতে না দেয়, তাহলে ৩৩৩ এর কল করে বলবে, আমার খেলার মাঠে আমাকে খেলতে দেওয়া হচ্ছে না।
আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব”। এসময় কিশোরীরা তাদের খেলাধুলা এবং মাঠ ও পার্কে যাওয়ার নিরাপদ পরিবেশ দাবি করলে মেয়র বলেন, “আমরা ২৪টি খেলার মাঠ ও পার্কের সংস্কার ও উন্নয়ন করছি, যার ১৭টিতেই সিসি টিভি ক্যামেরা এবং এলইডি লাইট থাকবে।
বনানী ১৮ নম্বর রোডের মাঠে শুধু নারী ও শিশুরা খেলবে। আর বাকিগুলোতে ও একটি নির্দিষ্ট সময়ে বা একটি নির্দিষ্ট জায়গা কিশোরীদের জন্য আলাদা করে দেওয়া যায় কি না আমরা দেখব”। মরিয়ম আক্তার মেঘলা নামের এক কিশোরী সিটি কর্পোরেশনের কাছে হাসপাতাল ও ফার্মেসিগুলোতে নারী চিকিৎসক এবং ফার্মাসিস্ট চান।
মেঘলা বলেন, “আমাদের কিশোরীদের অনেক ধরনের সমস্যা থাকে, কিন্তু আমরা সেগুলো হাসপাতালে বা ফার্মেসিতে বলতে পারি না কারণ সেখানে পুরুষ বেশি”। এবিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, “সিটি কর্পোরেশনের মাতৃসদন হাসপাতালগুলোতে নারী চিকিৎসক আছেন, সেখানে কিশোর কিশোরী কর্নার আছে। তোমরা সেখানে আসতে পারো।
আমাদের স্বাস্থ্য কর্মীরাও ভিজিটে তোমাদের কাছে যাবে”। মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, “আমি ঘোষণা দিচ্ছে – যেসব ফার্মেসিতে শতভাগ নারী কর্মী থাকবেন তাদের থেকে কোন ধরনের কর নেবে না সিটি কর্পোরেশন”। মেয়র আরো বলেন, “তোমাদের সাহস করে কথা বলতে হবে। তোমাদের অধিকার তোমাদেরকেই আদায় করে নিতে হবে।
আজকে যে দাবীগুলো তোমরা উপস্থাপন করলে সেগুলো আমরা বিভিন্ন মেয়াদে সমাধান করবো। সংলাপের পরে মেয়র কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে গুলশানস্থ বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্ক পরিদর্শন করেন। #