দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত পাইলট মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের সঙ্গে দ্বিতীয় স্ত্রী আঞ্জু কাপুরের (পাওয়ার অব অ্যাটর্নি জালিয়াতিতে অভিযুক্ত) মুসলিম রীতি অনুযায়ী বিয়ে হয়েছিল কি-না তা জানতে স্পেশাল ম্যারেজ রেজিস্ট্রার কবিতা রানি দত্ত রায় আজ আদালতে হাজির হয়েছিলেন।

সোমাবার (৮ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে শুনানির সময় স্পেশাল ম্যারেজ রেজিস্ট্রার কবিতা রানি দত্ত রায় আদালতে সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন না।

ফলে আগামী ১৪ মার্চ তাকে সশরীরে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ওই দিন এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবা কথা রয়েছে।

আজ সোমাবার নির্ধারিত দিনে স্পেশাল ম্যারেজ রেজিস্ট্রার কবিতা রানি দত্ত রায় আদালতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে বিয়ের রেজিস্ট্রার বই, ধর্মত্যাগ করার তথ্য এবং বিয়ে পড়ানোর সকল নথিসহ তথ্য জমা দিয়েছেন।

কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি আজ আদালতের ভার্চুয়াল শুনানিতে ছিলেন না। তাই তাকে আগামী ১৪ মার্চ আবারও হাইকোর্টে আসতে হবে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি।

অন্যদিকে আঞ্জু কাপুরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আর সুবহান। মোস্তফা জগলুলের দুই মেয়ে মুশফেকা ও মুবাশ্বিরার পক্ষে ছিলেন মনজিল মোরসেদ। সিটি ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন মির্জা সুলতান আল রাজী। এ ছাড়াও মশফেকা হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত পাইলট মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের পাওয়ার অব অ্যাটর্নি জালিয়াতির মাধ্যমে করে দ্বিতীয় স্ত্রী আঞ্জু কাপুর সিটি ব্যাংকের গুলশান এভিনিউ শাখা থেকে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন।

আর এই ঘটনায় তিন রকমের তারিখ এবং ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বন্ধের দিনে কীভাবে টাকা তোলা হলো তা নিয়ে বাংকের ম্যানেজারকে তলব করা হয়েছিল। তিনি আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

সিটি ব্যাংক থেকে টাকা তোলার ব্যাখ্যার শুনানি পরে আঞ্জু কাপুরের সঙ্গে মোস্তফা জগলুলের বিবাহের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দেয়। বিষয়টি সমাধানের জন্য অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) নিয়োগ দেন। তাদের বক্তব্য শুনানি শেষ হয়েছে সোমবার (১ মার্চ)।

আজও আদালতের শুনানিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারীর সঙ্গে মুসলিম ধর্মাবলম্বী পুরুষের বিয়েতে যে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট আছে সেই আইন অনুযায়ী বিয়ে হয়েছে কি-না জানার জন্য স্পেশাল ম্যারেজ রেজিস্ট্রারকে তলব করা হয়েছিল।

কিন্তু সোমবার নথিসহ হাইকোর্টে উপস্থিত হয়েও শুনানিতে না থাকায় তাকে আবারো আসতে বলেছেন আদালত। এজন্য আগামী ১৪ মার্চ তাকে আবারও সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে এবং তার উপস্থিতিতে শুনানি হবে।/