দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে অর্জিত স্বাধীনতা ও সংবিধান মেনেই সব দলকে রাজনীতি করার আহŸান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের অডিটোরিয়ামে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান, বিচারপতি জে বি এম হাসান, বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল, বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী, বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার, বিচারপতি মো. বশির উল্লাহ বক্তব্য রাখেন।এসময় হাইকোর্ট বিভাগের অন্যান্য বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব নিয়ে যারা প্রশ্ন করেন, তাদের বলতে চাই তার নেতৃত্বের গুণাবলির মধ্যে ঘাটতি কতটা ছিল। যদি ঘাটতি না থাকে,তাহলে একাত্তরকে স্বীকার করে দেশের সংবিধান মেনে নিয়ে বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হবে। কারণ আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, বহুদলে বিশ্বাস করি, তাহলে সহনশীল হতেই হবে। আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করবো আর সহনশীল হবো না, এটা গণতন্ত্রের চর্চা বলা যাবে না। গণতন্ত্রকে আমরা ধারণ করলে,আমাদের ভেতরের দূরত্বটা কমে আসবে।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘যে উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ লোক রক্ত দিয়ে ছিলেন, বঙ্গবন্ধু শহীদ হয়েছেন, সেই লক্ষ্যটা পূরণ করতে হবে। আমার মতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে এই জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য। ঠিক সেই হিসাব নিকাশ করেই ৩ নভেম্বর জেলের ভেতরেও হত্যাকাÐ হয়েছে।’ তিনি বলেন,‘ ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। তারপর আমাদের এগোতে হবে। অন্যথায় বার বার আমাদের এই বিপদের সম্মুখিন হতেই থাকব।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের গুণাবলির মধ্যে একটি ছিল সততা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার বাড়ি তল্লাশি করে মাত্র ২৫ হাজার টাকা পেয়েছে। কত সাধারণ জীবনযাপন করতেন তিনি। অনুষ্ঠানের আগে সুপ্রিম কোর্টে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর স্মারক সৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে প্রধান বিচারপতি সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে কমিশন হওয়া উচিত। # কাশেম