দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
দেশের বহুল আলোচিত ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজানো ‘জজ মিয়া’ নাটকে নিরপরাধ যুবক মো. জালাল ওরফে জজ মিয়াকে কারাগারে আটকে রাখার দায়ে ‘ওই ভিকটিম জজ মিয়াকে’ পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্টদের জবাব চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বে রুলসহ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ রায়।
ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব গণমাধ্যমকে বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় ২০০৫ সালের ৯ জুন নোয়াখালীর সেনবাগ থেকে ধরে আনা হয় জজ মিয়াকে। তাকে ১৭ দিন রিমান্ডে রেখে, ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে একটি সাজানো জবানবন্দি আদায় করে সিআইডি।
তিনি বলেন, ২০০৫ সালের ২৬ জুন আদালতে দেওয়া ওই কথিত স্বীকারোক্তিতে জজ মিয়া বলেছিলেন, পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে বড় ভাইদের নির্দেশে তিনি অন্যদের সঙ্গে গ্রেনেড হামলায় অংশ নেন। ওই বড় ভাইয়েরা হচ্ছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, জয়, মোল্লা মাসুদ ও মুকুল প্রমুখ।
পরে ২০০৭ সালে তত্ত¡াবধায়ক সরকার এসে নতুন করে এই মামলার তদন্তের উদ্যোগ নেয়। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ১১ জুন এ সংক্রান্ত মামলা দুটির অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। অব্যাহতি দেওয়া হয় জোট সরকারের আমলে গ্রেফতার হওয়া জজ মিয়াকে। সে সময় বিনা অপরাধে পাঁচ বছর কারাভোগ করতে হয়েছিল তাকে। #