দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি :
আগে প্রতি ডিমে লাভ করত ২০ পয়সা। এখন কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে প্রতি ডিমে লাভ করছে ২ টাকা ৭০ পয়সা। দেশের ভোক্তাদের জিম্মি করে এখন এক ডিমে আড়াই টাকার বেশি লাভ করা হচ্ছে ডিমের আড়তদার এবং ব্যবসায়ীরা।
ডিমের আড়তগুলো ক্রয় মূল্যের ভিত্তিতে নয় বরং চাহিদা অনুযায়ী ডিমের দাম নির্ধারণ করছে। কারসাজির মাধ্যমে ডিমের দাম বাড়ানোর অপরাধে আশুলিয়ায় আসিফের ডিমের আড়তকে ১ লাখ টাকা, এস জে অ্যাগ্রো ডিমের আড়তকে ১ লাখ টাকা এবং ফয়সাল এন্টার প্রাইজকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ ৩ আড়তকে মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
শনিবার (২০ আগস্ট) আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার ডিমের দাম বৃদ্ধি করে অস্বাভাবিক অতিমুনাফা লুটপাটে জড়িত ডিমের আড়তে অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল ও প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. হাসানুজ্জামান।
গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন আব্দুল জব্বার মন্ডল। তিনি বলেন, ডিমের বেশিভাগ আড়ত ক্রয়ের ক্যাশ মেমো সংরক্ষণ করছে না। বিক্রির ক্যাশ মেমোও দিচ্ছে না। মূল্য তালিকাও নেই।
তিনি বলেন, তাদের ক্যাশ মেমো ও কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখা যায়, গত ৭ আগস্ট প্রতিটি ডিমের ক্রয়মূল্য ছিল ৯ টাকা ৪০ পয়সা এবং ২০ পয়সা লাভে বিক্রি হয়েছে ৯ টাকা ৬০ পয়সায়। এর ১০ দিন পরই ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে। ১৭ আগস্ট প্রতিটি ডিমের ক্রয়মূল্য ছিল ৯ টাকা ১০ পয়সা এবং বিক্রিমূল্য ছিল ১১ টাকা ৮০ পয়সা। এক্ষেত্রে প্রতিটি ডিমে লাভ করা হয়েছে ২ টাকা ৭০ পয়সা, যা অস্বাভাবিক।
এভাবে কারসাজির মাধ্যমে ডিমের দাম বাড়ানোর অপরাধে আশুলিয়ায় আসিফের ডিমের আড়তকে ১ লাখ টাকা, এস জে অ্যাগ্রো ডিমের আড়তকে ১ লাখ টাকা এবং ফয়সাল এন্টার প্রাইজকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ ৩ আড়তকে মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অন্যদিকে ১৩ আগস্ট কাজী ফার্মে উৎপাদিত সব ডিম প্রস্তাবিত দরের চেয়ে বেশি দর হাঁকিয়ে নিলামের মাধ্যমে ক্রয় করে অতি মুনাফা লাভের আশায় বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করা হয়। প্রতিষ্ঠানে ডিম ক্রয় ও বিক্রির কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি, এমনকি প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্স ৩০ জুন মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে।
এসব অপরাধে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ফয়সাল এন্টারপ্রাইজের সব ধরনের কার্যক্রম জনস্বার্থে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। #