দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ বিমানের সাবেক সিবিএ নেতা মো. মশিকুর রহমানসহ ১৭ জন নেতাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত দুর্নীতি তদন্তের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যক্রমের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ভার্চুয়াল বেঞ্চ দুদকের পক্ষ থেকে সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করে ওই ১৭ নেতার বিরুদ্ধে দুদকের পদক্ষেপ জানতে চান। সে বিষয়ে আজ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আদালতে আজ শুনানিতে মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মানজিল মোরশেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক গণমাধ্যমকে বলেন, এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট ভার্চুয়াল বেঞ্চ ২০১৪ সালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১৭ সিবিএ নেতাকে পাঠানো দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দেয়া নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা দুদকের কাছে জানতে চান।
নোটিশের পরে নেয়া পদক্ষেপ সাত দিনের মধ্যে দুদকসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষের কাছে জানতে চেয়ে আদেশ দিয়েছিলেন। তারই আলোকে আজ শুনানির নির্ধারিত দিনে দুদকের পক্ষ থেকে তাদের আইনজীবী দুই সপ্তাহ সময় আবেদন করেন। সময় আবেদনের পরে এ বিষয়ে অগ্রগতি জানাতে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন আদালত।
এর আগে ২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি জারি করা রুলের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মো. মশিকুর রহমানসহ বিমানের ১৭ জন সিবিএ নেতার দুর্নীতি তদন্ত করার জন্য দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের এই আদেশ দেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, ২০১৪ সালে করা একটি রিটের জারিকৃত রুলের শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দিয়েছেন।
আইনজীবীদের তথ্যমতে, বিমানের সিবিএ নেতা মো. মসিকুর রহমান, আজাহারুল ইমাম মজুমদার, আনোয়ার হোসেন, মো. ইউনুস খান, মো. মনতাসার রহমান, মো. রুবেল চৌধুরী, মো. রফিকুল আলম, মো. আতিকুর রহমান, মো. হারুনর রশিদ, আবদুল বারী, মো. ফিরোজুল ইসলাম, মো. আবদুস সোবহান, গোলাম কায়সার আহমেদ, মো. আবদুল জব্বার, মো.আবুল কালাম, আসমা খানম ও মো. আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তের জন্য ২০১৪ সালে দুদক নোটিশ দেয়। তবে তারা হাজির হতে অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে দুদকের পক্ষ থেকে আর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে হাইকোর্টে রিট করা হয়। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে দুদকের পদক্ষেপ গ্রহণে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
আইনজীবী মনজিল মোরশেদ জানান, ওই রুল শুনানির জন্য ছিল আদালতে। কোনো ব্যক্তিকে দুদক থেকে নোটিশ দেয়া হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সে বিষয়ে সাড়া না দিলে দুদক আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে মামলা দিতে পারে। অথচ ১৭ সিবিএ নেতার ক্ষেত্রে কোনো মামলা হয়েছে কি না, তা আদালতকে জানানো হয়নি। এ প্রেক্ষাপটে আদালত ওই আদেশ দেন।/