দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
বহুল আলোচিত পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে
অবৈধভাবে তথ্য পাচার ও মোটা অংকের ঘুষ লেনদেনের মামলায় আগামী ২১ ডিসেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন ঢাকা বিশেষ জজ আদালত।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ দিন ধার্য করেন। আজ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য পুলিশের বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি মিজান ও দুদকের বরখাস্ত হওয়া কর্মকতা বাছিরকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
গত ১৮ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
কিন্তু আদালতে কোনো সাক্ষী হাজির না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন। এ মামলায় ১৭ সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, নারী নির্যাতনের অভিযোগে ২০১৯ সালের জানুয়ারির শুরুর দিকে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়। এরপর গত বছরের ২৪ জুন সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এর অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।
মামলার তদন্ত চলাকালে ডিআইজি মিজান অভিযোগ করেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই দিতে দুদকের পরিচালক এনামুল বাছির তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন।
এ অভিযোগ ওঠার পর বাছিরকে সরিয়ে দুদকের আরেক পরিচালক মো. মঞ্জুর মোরশেদকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ফানাফিল্যাকে প্রধান করে তিন সদস্যের দলকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়।
এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি করেন দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও তিনি।
২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েসের আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা। ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েস আসামিদের উপস্থিতিতে এ চার্জশিট গ্রহণ করেন।
তার বিরুদ্ধে আরো অনেক অভিযোগ রয়েছে, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার থাকাকালেমিজান অতিমাত্রায় ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তিনি বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেফতার করিয়েছেন। এছাড়া এক সংবাদ পাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) হয়।