দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
পুরান ঢাকার আলোচিত হাজী সেলিম এমপির ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটির বরখাস্তকৃত ওর্য়াড কাউন্সিলর ইরফান সেলিম এবং তার সহযোগি মোহাম্মদ জাহিদের অস্ত্র মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেছেন ঢাকা সিএমএম আদালত।
রোববার ( ১৫ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসির আদালতে আসামিদের পক্ষে করা জামিন আবেদন শুনানি শেষে বিচারক এ আদেশ দেন।
এর আগে গত শনিবার পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
অন্যদিকে আসামিদের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। আজ উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ৮ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত চকবাজার থানার অস্ত্র ও মাদক মামলায় তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
১ নভেম্বর নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় করা মামলায় দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে ২৮ অক্টোবর ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২৫ অক্টোবর রাতে হাজী সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমদ খানকে মারধর করা হয়। রাজধানীর কলাবাগান সিগন্যালের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
ওইদিন রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও পরদিন ভোরে ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মোঃ জাহিদ, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত দু-তিনজনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পর ইরফানকে গ্রেফতার করে র্যাব। এছাড়া পুরান ঢাকায় তার বাসায় অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে ৩৮টি ওয়াকিটকি, পাঁচটি ভিপিএস সেট, একটি পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক, একটি ব্রিফকেস, একটি হ্যান্ডকাফ, একটি ড্রোন এবং সাত বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়।
বাসায় বিদেশি মদ ও অনুমোদনহীন ওয়াকিটকি রাখায় কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড মোঃ জাহিদকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাতেই তাদের কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।# সূত্র : বাসস