দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ক্ষমতার অপব্যবহার ও ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৮৮ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলায় এবি ব্যাংক লি. এর তিন কর্মকর্তাসহ চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।
বুধবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।তবে আসামিরা পলাতক থাকায় বিচারিক আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ সাজার রায় ঘোষণা করেছেন। আসামিরা যে দিন গ্রেফতার হবে ওইদিন থেকেই তাদের সাজা কার্যকর হবে।
দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী ২০১৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মতিঝিল থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৮৮ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
আদালতের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মেসার্স ওয়ান থ্রেড অ্যান্ড একসেসরিজ ও বুশরা এসোসিয়েটস’র মালিক খন্দকার মেহমুদ আলম (নাদিম), মতিঝিল এবি ব্যাংক লি. কর্পোরেট শাখার সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা ব্যবস্থাপক আবু সালেহ মো. আব্দুল মাজেদ, মহাখালী এবি ব্যাংক লি. কর্পোরেট শাখার সিনিয়র সাবেক সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপক এএলএম বদিউজ্জামান এবং একই শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার ফারুক আহাম্মেদ ভূঁইয়া।
আদালত দুদক আইনের ৪০৯ ধারায় আসামি খন্দকার মেহমুদ আলমকে ৮ বছরের কারাদণ্ড, দুই কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। ফৌজদারি দন্ডবিধির ৪৬৮ ধারায় চার বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।ফৌজদারি দন্ডবিধির ৪৭১ ধারায় এক বছরের কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন ধারার সাজা একসাথে চলবে বলে জানিয়েছেন আদালত।
আসামি আবু সালেহ মো. আব্দুল মাজেদকে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড, এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
আসামি এ এল এম বদিউজ্জামান এবং ফারুক আহাম্মেদ ভূঁইয়াকে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি দুদকের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী মামলাটি তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচারিক কার্যক্রম শুরু করা হয়।এ মামলার বিচার চলাকালে আদালত চার্জশিটভুক্ত ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। #