দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
কারা অধিদফতরের সাবেক উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় অভিযোগ গঠন করেছে বিচারিক বিশেষ জজ আদালত।আর এ অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে অবৈধ মম্পদের মামলায় সাবেক ডিআইজি বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।
তিনি বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত এবং কারাবন্দি আসামি। তার বিরুদ্ধে তিন কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালত উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনানি গ্রহণ করে (আসামি) বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একই সাথে এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান দুদকের আইনজীবী অ্যাভোকেট মোশাররফ ঞোসেন কাজল।
এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ চার্জশিট গ্রহণ করেন। একইসাথে মামলাটি বিশেষ জজ-৫ আদালতে বদলির আদেশ দিয়ে চার্জ গঠনের জন্য ২২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করে।
২৬ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মোঃ নাসির উদ্দীন ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে বলা হয়, বজলুর রশীদ রূপায়ন হাউজিং স্টেট থেকে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরাতন) ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন স্বপ্ননিলয় প্রকল্পের ২,৯৮১ বর্গফুট আয়তনের অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় করেন। ইতোমধ্যে তিনি অ্যাপার্টমেন্টের মূল্যবাবদ তিন কোটি আট লাখ টাকা পরিশোধ করেন। এ অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়বাবদ বজলুর রশীদ যে টাকা পরিশোধ করেছেন, এর স্বপক্ষে কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি।
এমন কি তিনি অ্যাপার্টমেন্টের ক্রয়-সংক্রান্ত কোনো তথ্য তার আয়কর নথিতে দেখাননি। পরিশোধিত তিন কোটি আট লাখ টাকা জ্ঞাত আয় উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ দুদক আইন ২৭ (১) ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়।
২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর সকাল ১০টায় বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই দিনই দুদকের উপ পরিচালক মোঃ সালাউদ্দিন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। এরপর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।#