বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৯ অপরাহ্ন

রাখসি করোনা এবার ক্ষেপছে ! বাঁচার উপায় নেই,,,

আবুল কাশেম , দূরবীন নিউজ :
করোনার হিংস্রতা থেকে সবাই বাঁচার জন্য মহান আল্লাহর করুনা ও গায়েবি সাহায্য কামনা ছাড়া উপায় নেই। দুনিয়া ,আখেরাত, জীবন -মৃত্যূ, আকাশ -বাতাস, রোগ-বালাই অথাৎ সব কিছুর মালিক মহান আল্লাহ। ফলে বর্তমান করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আমাদের সবাইকে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে চলার পাশাপাশি মহান আল্লাহ দরবারে বিশেষ প্রার্থনা করা উচিত।

আসুন প্রবিত্র ঈদ ঊল ফিতরে করোনার এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সবাই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলার চেষ্টা করি এবং মহান আল্লাহ দরবারে প্রার্থনা করি। আর ঈঁদের আনন্দ মানে , সবাই সুস্থ থাকুন , ভাল থাকুন। ‘ অনলাইন নিউজ পোটাল দূরবীণ নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম’ পরিবারের পক্ষ থেকে সাবার জন্য সুস্বাস্থ্য এবং সুস্থতার কামনা করা হচ্ছে ।

তবে করোনাভাইরাস ও বর্তমান পরিস্তিতির আলোকে একটি ছোট গল্প দূরবীণ নিউজের পাঠকদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হলো।
গল্পটি হলো : রিন্টু ও  বল্টু রশিক দুই বন্ধু কোনো কাজ নেই তাই বসে বসে গল্প করছে।এমন সময় রিন্টু তার বন্ধু বল্টুকে ডেকে বলল।  দেখ . দোস্ত, বাংলাদেশে না, এবার রাখসি করোনা অনেক ক্ষিপ্ত হয়েছেন। যাকে পায় তাকেই ধরে। প্রথমে আক্রান্ত করে পরে মেরে ফেলে।

করোনা এতাে দিন বেশি ক্ষেপেনি। ধীরে ধীরে শিকার ধরছে। যারা বেশি সাহস দেখাইছে তাদেরকেই আগে ধরছে। করোনা এতাই পাছি যে, কাউকেই ছাড়ে না।

 #   বল্টু প্রশ্ন করলো: কি বলতে চাও , কথাটা বুঝলাম না । কাউকেই ছাড়েনি মানি কি ? দোস্ত বিষয়টি পরিস্কার করে বল দেখি ।

 #   রিন্টু : আরে দোস্ত এটা না বুঝার কি আছে। কেনো দেখ না, করোনার অক্রমণে সরকারে হিসেবেই তো রয়েছে আজ ২৪ মে পর্যন্ত বাংলাদেশে ৪৮০ জনকে মেরে ফেলেছে। আর আক্রান্ত করেছে ৩৩ হাজার ৬১০ জনকে। আরো অনেকের তো পরীক্ষাই হয়নি, পরীক্ষা করা হলে দেখা যাবে, করোনায়
আরো কনো জন আক্রমণ করেছে। ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠবে । #   রিন্টু  বলল, ভাল ভাল মানুষগুলোকে মেরে ফেলে করোনা । এরমধ্যে রয়েছে, দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনীর বেশ কিছু সদস্য, পুলিশ বাহিনীর সদস্য, চিকিৎসক, সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারী, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ব্যাংকার এবং ব্যবসায়িসহ আরো অনেক পেশার লোকজন ।

#   রিন্টু  বলল, দোস্ত দেখ, সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আজকের বুলেটিনেই উল্লেখ করা হয়েছে, ২৪ মে একদিনেই করোনায় ২৮ জনকে মেরে ফেলেছে আর আক্রান্ত করেছে ১,৫৩২ জনকে ।এভাবেই প্রতিদিন ১৬/১৭ শত জনকে নতুনভাবে আক্রান্ত করছে একই সাথে প্রতিদিন মেরে যাচ্ছে ২০/২২ জনকে।

 #   বল্টু  দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে বলল, আ ! । এবার সত্যিই বুঝলাম, করোনা কি জিনিস । তা হলে আমারা এবার ঈঁদের কেনা কাটার বিষয়টা না করে, করোনাকে দান করে দিতে পারি না। দোস্ত একটু ভাব তো । কারণ করোনা অক্ষোয় রয়েছে সুযোগ পেলেই আমাদেরকে আরো আক্রমণ করবে । তবে আমরা কেনো এত বড় বড় ভুলগুলো করলাম। এখনো তো সময় আছে সতর্ক হবার।

#   রিন্টু  বলল,  আরো জোরে বলল, দোস্ত একটা গোপন খবর পাইলাম । ঈঁদের পর নাকি করোনা আরো বেশি ক্ষিপ্ত হবে। কারণ আমরা নাকি করোনাকে সম্মান জানাইনি। তাকে ভয় পাইনিই। বাসা বাড়িতে নিরাপদে থাকি নাই। এতে করোনা অপমান বোধ করেছে।

#   রিন্টু  আরো বলল , কেনো দোস্ত দেখ না, বন জঙ্গলের হিংস্র প্রাণী, বাঘ ও সিংহের ভয়ে অনেক শক্তিশালী মানুষও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখে। এমন কি চিড়িয়াখানায় বন্দি বাঘ -সিংহের খাঁচার বাইরের দেয়াল থেকেও দূরে দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে মানুষ হিংস্র প্রাণীর ভয়ে দূরে থাকে। কিন্তু করোনা তো ওই হিংস্র প্রাণীর চেয়েও অনেক বেশি ভয়ঙ্কর।

কেনো দেখ না বাংলাদেশের বিভিন্ন – হাসপাতালে করোনা রোগীর কাছে স্বজনরা যেতে চায় না। চিকিৎসকরাও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে পরামর্শ দিচ্ছেন।
আবার অনেক হাসপাতালে তো করোনার ভয়ে সর্দি, কাশি জ্বরের রোগীদের গ্রহণই করে না। এসব দেখেও যারা সতর্ক হচ্ছে না, তাদের উপর তো করোনা বেশি ক্ষিপ্ত হবে। আর এটাই তো স্বাভাবিক।#   বল্টু  বলল, দোস্ত গাড়িতে ফেরিতে এবং হাটে বাজারের যে দৃশ্য দেখতেছি, তাদের কি হবে ?

#   রিন্টু   আক্ষেপ করে বলল , হায় রে বাংলাদেশর মানুষ । যারা গাদাগাদি করে গাড়িতে, ফেরিতে, ট্রেনে, বাজারে যাচ্ছেন, মনে হচ্ছে, তাদের মধ্য থেকে অনেককেই করোনায় টারগেট করে ফেলছে। রাজধানীসহ বিভাগীয় শহর থেকে যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এইভাবে গ্রামের বাড়িতে ঈঁদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে যাচ্ছেন। আর তারা মনের অজান্তেই সাথে করে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস নিয়ে যাচ্ছেন। তারা বিনা পয়সায় গ্রামের স্বজনদের কিছু করোনা দিয়ে আসবেন। আবার আসার সময় একই ভাবে রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরে বাসায় কিংবা কর্মস্থলে নিজেরা কিছু গ্রাম্য করোনা নিয়ে আসবেন। বাহ ! ঈঁদের কি আনন্দ, কি মজা, বিনা পয়সায় করোনা লেন দেন করছেন না ! ।

#   রিন্টু  বলল, এবার অভিমান করে আরো বলল , হায় রে বাংলাদেশের মানুষ , মনে হয় জীবনে আর কোনো দিন ঈঁদ পাবে না। বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্র ইতালি, আমেরিকা, ফান্স, চীন, রাশিয়া যুক্তরাজ্যসহ অনেক উন্নত ও আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর শক্তিশালীদেরকে করোনায় শুয়াইয়ে দিয়েছে।

কিন্তু বাংলাদেশের প্রশাসন এবং জনগণ করোনাকে পাত্তাই দিচ্ছে না। যদি সত্যিই করোনাকে ভয় পেতো এবং করোনাকে পাত্তা দিতো তাহলে গাড়িতে, ফেরিতে এবং হাটে বাজারে এবং রাজপথে লোকজনের গণসমাবেশের ভয়াবহ দৃশ্য সাংবাদিকদের ক্যমেরায় ধরা পড় তো না।

অবশেষে ওই দুই দোস্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে , তারা এবার ঈঁদের নামাজ ইদগাহে কিংবা মসজিদেও পড়তে যাবে না। বাসায় যে ভাবে পুরো রমজান মাস তারাবিহ নামাজ পড়েছেন। ঠিক একইভাবে অতিরিক্ত ৬ তাকবিরের সাথে ২ রাকাত ঈদ ঊল ফিতরের ওয়াজিব নামাজ পড়বেন। কারণ বাসায় পড়লে তো খুতবা পড়ার প্রয়োজন হবে না। এতে আল্লাহর হুমকুম ‘ঈদের নামাজ’ পড়া হবে, স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টিও রক্ষা করা হবে। আর হিংস করোনার আক্রমণ থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখার সুযোগটা থাকবে। আর হিংস্র করোনাও রাগ করার সুযোগ পাবে না। # কাশেম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:১৩ পূর্বাহ্ণ
  • ১২:০০ অপরাহ্ণ
  • ৪:৩১ অপরাহ্ণ
  • ৬:২৮ অপরাহ্ণ
  • ৭:৪৭ অপরাহ্ণ
  • ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12