শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫১ পূর্বাহ্ন

রমজানে মসজিদে নামাজের জামাতে সর্বোচ্চ ২০ জন : ধর্ম মন্ত্রণালয়

ফাইল ছবি

দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
রাজধানীসহ সারাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রামণ প্রতিরোধে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও তারাবির জামাতে মুসল্লিদের উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

এবার প্রতিটি মসজিদে ওয়াক্ত নামাজ ও রমজানে তারাবির নামাজে খতিব, ইমাম, হাফেজ, মুয়াজ্জিন ও খাদেমসহ সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লির অংশ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নির্দেশনা কার্যকর থাকবে। বিকেলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। পরে সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ থেকে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত জারি করা এক সপ্তাহের বিধিনিষেধ মেনে চলতেও আহ্বান জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এছাড়া পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পাঁচটি নির্দেশনা মেনে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, জুমা এবং তারাবির নামাজ আদায় করতে বলা হয়েছে।

নির্দেশনাগুলো হলো:
১. মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের প্রতি ওয়াক্তে সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশ নিতে পারবেন।
২. তারাবির নামাজে খতিব, ইমাম, হাফেজ, মুয়াজ্জিন ও খাদেমসহ সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশ নিতে পারবেন।
৩. জুমার নামাজে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিরা অংশ নেবেন।

নামাজ শেষে করোনার মতো মহামারি থেকে বিশ্ববাসীকে রক্ষা করতে মুসল্লিদের পবিত্র রমজানে তেলাওয়াত ও জিকিরের মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমত পেতে ও বিপদ মুক্তির জন্য দোয়া করার অনুরোধ করা হয়।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লেখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

গত ৫ এপ্রিল আসন্ন রমজান মাসের তারাবির নামাজ, সেহরি ও ইফতার আদায়ের ক্ষেত্রে ১০টি নির্দেশনা দেয় মন্ত্রণালয়। নির্দেশনায় বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে সারাদেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় দেশের মসজিদগুলোতে জামাতে নামাজের জন্য আবশ্যিকভাবে ১০টি নির্দেশনা পালন করতে হবে।

এরমধ্যে অন্যতম ছিল, মসজিদে ইফতার ও সেহরির আয়োজন করা যাবে না, সংক্রমণ রোধে মসজিদের অজুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না, মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না।

সেখানে আরও বলা হয়, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, মুসল্লিদের নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে, প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু ও সুন্নত নামাজ আদায় করে মসজিদে আসতে হবে।

অজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে, মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।
#


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:১৩ পূর্বাহ্ণ
  • ১২:০০ অপরাহ্ণ
  • ৪:৩১ অপরাহ্ণ
  • ৬:২৮ অপরাহ্ণ
  • ৭:৪৭ অপরাহ্ণ
  • ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12