সর্বশেষঃ
বনানীতে ৩ রেস্তোঁরাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা, ভুয়া ঠিকানায় ট্রেড লাইসেন্স উন্নয়নকাজে সমন্বয়হীনতায় সরকারি অর্থের অপচয় গৃহায়নের প্রকৌশলী আলম ঘুষের দেড় লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার বছিলায় সরকারি খালে নির্মাণাধীন  ৬টি বড় স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছেন ডিএনসিসির মেয়র ডিএসসিসির ১ ইঞ্চি জমিও আর কেউ অবৈধভাবে দখলে রাখতে পারবে না মেয়র তাপস  RAJUK Employee Management System (REMS)-বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত ডেঙ্গু মোকাবিলা করা বড় চ্যালেঞ্জ : মেয়র আতিকুল ইসলাম শেখ হাসিনাকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট ও জর্জিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন শিশু আয়ানের মৃত্যু, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রিপোর্ট হাস্যকর : হাইকোর্ট ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৩:১৩ অপরাহ্ন

ভারতীয় নাগরিকের বাংলাদেশি পাসপোর্ট; সরকারি কর্মচারীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
জালিয়াতি ও অনৈতিক অর্থের বিনিময়ে ভারতীয় নাগরিক হাফেজ আহম্মেদ বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে সৌদি আরব পাড়ি দিয়েছেন। বাংলাদেশ ছাড়ার পর ওই ভারতীয় নাগরিকের আবেদনের মূল রেকর্ডপত্রসহ সবনথি রাজশাহী পাসপোর্ট অফিস থেকে গায়েবের চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে।

তদন্ত প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র বিনষ্ট ও গায়েব করায় দন্ডবিধি ৪২০/৪৬৭/ ৪৬৮ /৪৭১/ ২০১/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন- ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের সুপারিশ করা হয়েছে।

ভারতীয় নাগরিক হাফেজ আহম্মেদকে জালিয়াতি ও অবৈধ লেনদেনের বিনিময়ে পাসপোর্ট দেওয়ার ঘটনায় রাজশাহী পাসপোর্ট অফিসের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় চার্জশিট দাখিলের প্রস্তুতি চলছে। দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্তে প্রাপ্ত অভিযোগে দায়ের করার মামলার সততার বিষয়টি প্রমাণীত হয়েছে।

কমিশনের অনুমোদন এবং নির্দেশনার আলোকে দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা ও উপপরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করবেন। গণমাধ্যমকে দুদকের একাধিক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিয়ম অনুযায়ী পাসপোর্টের আবেদনকারীর পরিচয়, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, পেশা উল্লেখ থাকে। পুলিশের বিশেষ (এসবি) শাখার মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের যচাই বাছাই শেষে পাঠানো প্রতিবেদন পাপ্তির পরই পাসপোর্ট তৈরি এবং আবেদনকারীকে প্রদান করা হয়ে থাকে।

সূত্র মতে, ভারতীয় নাগরিক হাফেজ আহম্মেদের পাসপোর্টের বিষয়ে জালিয়াতির বিষয়টি প্রথমদিকে ধরা পড়লেও অবশেষে বড় অঙ্কের লেনদেনের মাধ্যমে রাজশাহী পাসপোর্ট অফিসের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতায় আবেদনকারী পাসপোর্ট পেয়েছেন।

দুদকের তদন্তে বেরিয়ে আসা অভিযুক্তরা হলেন- পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো. আবজাউল আলম। তিনি বর্তমানে যাত্রাবাড়ী আ লিক পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত। সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অফিস সহায়ক রঞ্জু লাল সরকার ও হুমায়ুন কবির, রাজশাহী পাসপোর্ট অফিসের সাবেক উচ্চমান সহকারী ও আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের সুপারিনটেনডেন্ট মো. দেলোয়ার হোসেন, ডাটা এন্ট্রি কন্ট্রোল অপারেটর আলমাস উদ্দিন, রেকর্ড কিপার মো. ইব্রাহিম হোসেন ও সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. আব্দুল ওয়াদুদ এবং ভারতীয় নাগরিক হাফেজ আহম্মেদ।

দুদকের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের পক্ষ থেকে উল্লেখিত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে।
সূত্র মতে, ভারতীয় নাগরিক হাফেজ আহম্মেদের নামে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ইস্যু এবং তাকে সৌদি আরব গমনে সহায়তা সংক্রান্ত একটি অভিযোগটি অনুসন্ধানের জন্য দুদক উপপরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়।

টিমের অপর সদস্যরা হলেন, সহকারী পরিচালক (বর্তমানে উপপরিচালক) মো. মামুনুর রশীদ চৌধুরী ও উপসহকারী পরিচালক (বর্তমানে সহকারী পরিচালক) আফনান জান্নাত কেয়া। অনুসন্ধানে অভিযোগের সততা পেয়ে ২০২০ সালের ১১ মার্চ দুদকের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এরপরই উপপরিচালক মো. মামুনুর রশী চৌধুরীকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ, ২০১৭ সালের ৬ জুন ভারতীয় নাগরিক হাফেজ আহম্মেদ রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার সাপুরা ডাকঘরের ছোট বনগ্রামের নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে পাসপোর্ট ইস্যুর জন্য রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে অনলাইনে আবেদন করেন। পাসপোর্ট অফিসের অফিস সহায়ক রঞ্জু লাল সরকার আবেদনপত্রটি অফিসিয়ালি জমা দেখিয়ে নিজ ফোজতে রাখেন। এরপর রঞ্জু লাল সরকার তার পরিচিত ট্রাভেল এজেন্সির মালিক জনৈক গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

পাসপোর্টের আবেদনপত্র জমা থেকে শুরু করে পাসপোর্ট প্রদান পর্যন্ত সব কাজ সম্পন্ন করতে অবৈধ লেনদেনে চুক্তিবদ্ধ হন তারা। পরে রঞ্জু লাল সরকার রাজশাহী সিটি করপোরেশনের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. নূরুল ইসলাম রাজুর মাধ্যমে জন্মসনদ তৈরি করেন। ২০১৭ সালের ১৩ জুন ট্রাস্ট ব্যাংকের মাধ্যমে পাসপোর্ট ফি-বাবদ ৩ হাজার ৪৫০ টাকা পরিশোধ করা হয় এবং ২০১৭ সালের ৯ জুলাই পাসপোর্টের উচ্চমান সহকারী মো. দেলোয়ার হোসেনের নিকট আবেদনপত্রটি উপস্থাপন করা হয়।

তার অনুমোদনের পর আবেদনপত্রটি অন্যান্য আবেদনপত্রের ন্যায় একই তারিখে বায়ো-এনরোলমেন্ট কার্যক্রম সম্পন্ন না করে ১২ জুলাই তা সম্পন্ন করা হয়। ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই বাংলাদেশ পুলিশের রাজশাহী সিটি স্পেশাল ব্রাে র মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আবেদনসহ মোট ৪৩টি আবেদনের বিষয়ে পুলিশ প্রতিবেদন পাঠানো হয়। পুলিশ প্রতিবেদনে আবেদনকারী হাফেজ আহম্মেদকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

কিন্তু স্পেশাল ব্রাে র মডিউলের দায়িত্বপ্রাপ্ত পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারী আসামি মো. হুমায়ুন কবির অসৎ উদ্দেশ্যে বিষয়টি কম্পিউটার সিস্টেমে ইনপুট দেননি। ফলে ১৮ আগস্ট আবেদনপত্রটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাপ্রভাল মডিউলে চলে যায়। রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো. আবজাউল আলম তার দাপ্তরিক বিভিন্ন কাজে সহায়তাকারী ডাটা এন্ট্রি কন্ট্র্রোল অপারেটর আলমাস উদ্দিনের মাধ্যমে ৩০ আগস্ট ডাটা কারেকশন (ঠিকানা- বাড়ির নম্বর সংশোধন) করে পাসপোর্ট প্রদানের চূড়ান্ত অনুমোদন দেন।

এরপর আসামী রঞ্জু লাল সরকার ২০১৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সকালে তৎকালীন রেকর্ড কিপার মো. ইব্রাহিম হোসেনের (ইউজার আইডি ব্যবহার করে) সহযোগিতায় পাসপোর্ট (নম্বর- বিকিউ ০১৭৮২৬০) ডেলিভারি করিয়ে নেন। ওই পাসপোর্ট ব্যবহার করে ভারতীয় নাগরিক হাফেজ আহম্মেদ ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিমানের বিজি-০০৩৫ ফ্লাইটে সৌদি আরবে যান। হাফেজ আহম্মেদ দেশছাড়ার পর তার আবেদনের মূল রেকর্ডপত্র রাজশাহী পাসপোর্ট অফিস থেকে বিনষ্ট ও গায়েব করা হয়।

দুদকের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ, ভারতীয় নাগরিক হাফেজ আহম্মেদের বিপক্ষে আসা পুলিশ প্রতিবেদন গোপন করে আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে পাসপোর্ট তৈরি, ইস্যু ও বিতরণসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৪৬ পূর্বাহ্ণ
  • ১২:০৮ অপরাহ্ণ
  • ৪:২৮ অপরাহ্ণ
  • ৬:১৫ অপরাহ্ণ
  • ৭:২৮ অপরাহ্ণ
  • ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12