দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি :
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তফসিলভুক্ত অপরাধের ঘটনায় কেনো সরাসরি আদালতে মামলা করা যাবে না, তার জবাব চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের জারি করা রুরে একই সঙ্গে দুদকের বর্তমান কার্যকর বিধানটি কেনো অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না.তারও জবাব জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রোববার (১২ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বে রুলসহ এ আদেশ জারি করেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রিটকারীর পক্ষে আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
আদালতে রোববার রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস। পরে আদালতের বাইরে গণমাধ্যমকে অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস রুলসহ জারি করা আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস বলেন, ২০১৯ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নিজ কার্যালয়ে যেকোনো দুর্নীতির বিষয়ে মামলা কিংবা এজাহার দাখিল করার বিধান কার্যকর করা হয়। দুদকের নিজস্ব কার্যালয়ে দায়ের করা ওই এজাহার দুদকের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তারা তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এর আগে দুদকের কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতো এবং দুদক কর্মকর্তারা ওইসব মামলা তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করতেন।
এদিকে দুদকের ২০১৯ সালের সংশোধিত আইন ও বিধির ক্ষমতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের জারি করা রুলের সঙ্গে গত ৯ জুন সম্পূরক আবেদন করা হয়। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে ১২ জুন এ রুলসহ আদেশ জারি করলেন হাইকোর্ট।
আরও জানা যায়, দুদক নিজেই মামলা করার ক্ষমতা সংক্রান্ত বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা-২০০৭ সংশোধন করে ২০১৯ সালের ২০ জুন এ বিষয়ে গেজেট জারি করে। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস এবং ব্যারিস্টার নওশীন নাওয়াল রিট আবেদন করেন।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালে ১৭ ডিসেম্বর থানার পরিবর্তে দুদক কার্যালয়ে এজাহার দায়ের করা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই রিটে আবেদনকারীরা একই বিধিমালার ১৩ (৩) বিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একটি সম্পূরক আবেদন করেন। #