দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
ফাওমকাসিকর্ন নামে থাইল্যান্ডের ২৩ বছর বয়সী এক নারী বিমানে দোহা থেকে ব্যাঙ্কক ফেরার পথে আকাশেই সন্তান প্রসব করেন। তাকে ওই বিমানের কেবিন ক্রু ও নারী যাত্রীদের সহযোগিতা করেন।
বিমানের পাইলট যোগাযোগ করেন কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) সঙ্গে। মেডিক্যাল সহায়তা চাওয়া হয়। সেই মতো মঙ্গলবার ভোর ৩ টা ১৫ মিনিটের সময় জরুরি অবতরণ করে বিমানটি। খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের।
এরপর ওই নারীকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মা ও শিশু দু’জনেই সুস্থ বলে জানা গিয়েছে। বিমানের ভিতরে সন্তানের জন্মের সাক্ষী থাকায় খুশি অন্যান্য যাত্রী এবং কেবিন ক্রু’রা। তাঁদের কথায়, এমন অভিজ্ঞতা তাদের কাছে এই প্রথম। তাই তারা যে কতটা খুশি, সেটি কথায় বলে প্রকাশ করতে পারবেন না বলেই জানিয়েছেন।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, দোহা থেকে ব্যাঙ্কক যাচ্ছিল কাতার এয়ারওয়েজ সংস্থার বিমানটি। ফাওমকাসিকর্ন নামে থাইল্যান্ডের বছর তেইশের ওই তরুণী দোহা থেকে ব্যাঙ্কক ফিরছিলেন। বিমানেই তার প্রসব যন্ত্রণা ওঠে। তখন বিমান নাগপুরে। ব্যাঙ্কক থেকে প্রায় অর্ধেক দূরত্বে।
আপৎকালীন পরিস্থিতি বুঝতে পেরে এগিয়ে আসেন বিমানসেবিকা এবং কেবিন ক্রু-রা। সকলে মিলে ওই অবস্থাতেই তাঁর সফল প্রসব করান। নাড়ি ছেঁড়ার যন্ত্রণার সঙ্গে সদ্যোজাতের কান্নার শব্দ শুনতে পান ফাওম। যা শুনে বিমানের ভিতরে থাকা অনেকে আনন্দে কেঁদে ফেলেন।
পাইলট বিষয়টি জানতে পেরেই জরুরি অবতরণের অনুমতি চান কলকাতা বিমানবন্দরের এটিসি’র কর্মকর্তাদের কাছে। কলকাতা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করিয়ে জরুরি ভিত্তিতে মেডিক্যাল পরিষেবা দেয়া হয় ওই সদ্যোজাত এবং মা’কে।
কলকাতা বিমানবন্দরের এটিসি’র এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভোর ৩টা ৯ মিনিট নাগাদ কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিমান, দোহা থেকে ব্যাঙ্কক যাওয়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের জন্য আমরা একটি বার্তা পাই। প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়।
এটিএসের মাধ্যমে পাইলট জানান যে, চিকিৎসার প্রয়োজনেই জরুরি অবতরণ করা হয়। সেই বার্তা পেয়েই তড়িঘড়ি বিমানবন্দরে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করেন কর্মকর্তারা। সেটি করে বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা দু’জনকে পরীক্ষা করে দেখেন এবং অবাক হয়ে জানান, কীভাবে মাঝ আকাশে এটি সম্ভব হলো, তা নিয়ে তারা যথেষ্টই বিস্মিত। # সূত্র : বর্তমান