দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি :
ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এল.এ. শাখার সার্ভেয়ার মো. আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ ৭০ হাজার ৪৭৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিনি বর্তমানে কেরাণীগঞ্জ উপজেলা মডেল থানা ভূমি অফিসে কর্মরত। ঢাকা সমন্বীত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী বাদী হয়ে ৩১ জানুয়ারি মো. আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(২) এবং ২৭(১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-২১।

গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপ পরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক। তিনি জানান আসামী মো. আতাউর রহমান, পিতা- মো. জাকারিয়া ঢালীর বর্তমান ঠিকানা: ১৪/৩ সনাতনঘর বন্ধুমহল, জিগাতলা, হাজারীবাগ, ঢাকা। তার স্থাীয় ঠিকানা: গ্রাম- ঢালীকান্দি,থাানা- সখিপুর, জেলা-শরীয়তপুর।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে উল্লেখ আসামী মো. আতাউর রহমানের জ্ঞাত আয়ের সাথে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণিত হওয়ায় দুদক ২০১৯ সালে ২৯ আগস্ট তার প্রতি সম্পদ বিবরণী দাখিলের চিঠি পাঠায়। তিনি ২০১৯ সালে ২২ অক্টোবর দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।

আসামী মো.আতাউর রহমানের দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২৫ লাখ ৬৫ হাজার ৭৭৩ টাকার স্থাবর এবং ১৩ লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকার অস্থাবরসহ মোট ৩৮ লাখ ৭৯ হাজার ৯৭৫ টাকার সম্পদের তথ্য প্রদর্শণ করেছেন। দুদকের অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা কালে জানতে পেরেছে আসামী আতাউর রহমান ঢাকা জেলার বাড্ডা থানাধীন বাড্ডা মৌজাস্থ’ ‘ইস্টার্ণ হাউজিং লি: এর আফতাব নগর প্রকল্পে’ ২.৮৮ শতাংশ জমি ২০১৫ সালে দলিল নং-৮৮৯২ মূলে ক্রয় করেছেন। অসৎ উদ্দেশ্যে প্রথমে তার পিতার নামে ক্রয় করে পরবর্তীকালে ২০১৭ সালে ৮ জানুয়ারি হেবা দলিল নং-২০৮ মূলে ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা দলিল মূল্য দেখিয়ে পিতার নিকট হতে দান হিসেবে গ্রহণ করেছেন।

এছাড়াও তিনি শরিয়তপুর জেলার সাবেক ভেদরগঞ্জ থানাধীন দিগর মহিশখালী মৌজায় ৯.৫০ শতাংশ জমি তার সহোদর ভাইয়ের নিকট হতে ২০১৬ সালে ২৯ সেপ্টেম্বর হেবা দলিল নং-২৯৩৮ মূলে ১ লাখ ৮১ টাকা দলিল মূল্য দেখিয়ে দান হিসেবে গ্রহণ করেছেন। কিন্ত একই তারিখের দলিল নং-২৯৩৭ মূলে একই মৌজা ও দাগে আসামি আতাউর রহমান ৬.৫০ শতাংশ জমি ১৩ লাথ ৫৩ হাজার টাকায় ক্রয় করেছেন। সে হিসেবে ৯.৫০ শতাংশ জমির প্রকৃত মূল্য হেবা দলিলে প্রদর্শিত দলিল মূল্যের চেয়ে অনেক বেশী হবে। #