শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৭ পূর্বাহ্ন

ক্ষতিকর প্যারাসিটামলে ১০৪ শিশুর মৃত্যু: প্রত্যেক পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা দিতে হবে: হাইকোর্ট

দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি :
ক্ষতিকর প্যারাসিটামল সেবনে ১০৪ শিশুর শিশুমৃত্যুর ঘটনায় প্রত্যেকের পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উচ্চ আদালত আদেশে বলেছেন, ১০৪ শিশু মৃত্যুর জন্য দায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, কোম্পানির কাছ থেকে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর উক্ত অর্থ আদায় করবে।

বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। অপর দিকে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান।

আদালতের বাইরে গণমাধ্যমকে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, ১৯৯১ সালে ভেজাল প্যারাসিটাল সিরাপ সেবন করে ৭৬ শিশু এবং ২০০৯ সালে রিড ফার্মার প্যারাসিটামল সেবন করে ২৮ শিশু মারা যায়। এ ঘটনায় ২০১০ সালে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে মানবাধিবার সংগঠন এইচআরপিবি জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।

তিনি বলেন, ওই রুলের দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে এ রায় দিয়েছেন। রায়ে ভেজাল প্যারাসিটামল সেবনে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় মোট ১০৪ শিশুর প্রত্যেকের পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এছাড়া ভেজাল ওষুধ নিয়ন্ত্রণে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নিষ্ক্রিয়তা অবৈধ ঘোষণা, ভেজাল ওষুধের অপরাধের ক্ষেত্রে বিশেষ ক্ষমতা আইন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি আদালত বলেছেন, ভেজাল ওষুধের কারণে শিশু মৃত্যুর দায় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর এড়াতে পারে না।
এদিকে রিড ফার্মার ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ সেবন করে ২৮ শিশু মারা যাওয়ার ঘটনায় ওষুধ কোম্পানিটির মালিকসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করা হয়। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক মো. শফিকুল ইসলাম ঢাকার ড্রাগ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বিচার শেষে ২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর পাঁচ জনকে খালাস দেন বিচারিক আদালত।

ওই রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারিক আদালত বলেছিলেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর মামলাটি করার ক্ষেত্রে ১৯৮০ সালের ড্রাগ আইন যথাযথভাবে অনুসরণ করেননি। মামলায় যথাযথভাবে আলামত জব্দ করা, তা রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠানো এবং রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন আসামিদের দেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে ড্রাগ আইনের ২৩, ২৫ ধারা প্রতিপালন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে সাবেক ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক মো. শফিকুল ইসলাম ও আলতাফ হোসেন চরম অবহেলা, অযোগ্যতা ও অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। #


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:১৩ পূর্বাহ্ণ
  • ১২:০০ অপরাহ্ণ
  • ৪:৩১ অপরাহ্ণ
  • ৬:২৮ অপরাহ্ণ
  • ৭:৪৭ অপরাহ্ণ
  • ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12