বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৩ পূর্বাহ্ন

‘এবার বাণিজ্য মেলায় ১০০ কোটি টাকা বিক্রি হয়েছে’

দূরবীণনিউজ প্রতিবেদক:
বৈশিক পরিস্থিতির মধ্যেও এই বছর জানুয়ারি মাসব্যাপী আয়োজিত ২৭ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় (ডিআইটিএফ) প্রায় ১০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাণিজ্য মেলার পরিচালক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, গত বছর বাণিজ্য মেলায় প্রায় ৮০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছিল। আরও ১ কোটি ৬০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানির অর্ডার পাওয়া যায়। এ ছাড়াও গতবছর বাণিজ্য মেলায় ভ্যাট আদায় হয়েছিল প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তবে এবার চলমান বাণিজ্য মেলায় ভ্যাট আদায় অনেক বেড়েছে। এর পরিমান ২ কোটি টাকার বেশি হবে।

৩১ জানুয়ারি দুপুরে ‘দৈনিক ব্যাংক বীমা অর্থনীতির এই প্রতিনিধিকে সব তথ্য জানান রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী। গত ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া মাসব্যাপীর আয়োজিত ২৭ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ) ৩১ জানুয়ারি রাতে সমাপ্তি হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে (বিবিসিএফইসি) দ্বিতীয়বারের মতো এই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়। অন্য বছরের তুলনায় এই বছরে মেলার আয়োজন ছিল ভিন্ন নান্দনিকতার। এমনটাই মনে করেছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, এই বছর মেলায় দেশ-বিদেশের মোট ৩৩১টি স্টলের মধ্যে ৫৭টি প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন ছিল। বিদেশি স্টল ছিল ১৭ টি এর মধ্যে বরাবরের মতো ভারত , হংকং, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইরানীসহ ১০ টি দেশ মেলায় অংশগ্রহণ করে। এই বছর নতুন করে জাপান ও সিঙ্গাপুর যুক্ত হয়।

এই বারের আসরকে জাঁকজমক করে তুলতে আলদা নজর দিয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। এবার এই মেলাটিকে নতুন রূপে সাজানো হয়েছিল। মেলার অন্যতম আকর্ষণ ছিল শিশুপার্ক। বাচ্চাদের জন্য নাগরদোলা , ট্রেন আরও নানা খেলার আয়োজন করা হয়েছে। শিশুপার্ক থাকায় অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের আনন্দ দিতে মেলায় নিয়ে এসেছিলেন। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু কর্নারে আনা হয়েছে অনেক রকম নতুনত্ব। এবার বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নকে ৫টি ধাপে সাজানো হয়েছে। প্যাভিলিয়নটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিভিন্ন রকম বই, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের ছবি, বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন প্রকার চিঠি ও মেলায় আসা দর্শনার্থীরা মনিটরে হেডফোন লাগিয়ে যাতে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনতে পারেন সে ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

পণ্যের দিকেও দেখা গেছে আরও নতুনত্ব। এবারের বাণিজ্য মেলায় প্রধান্য পেয়েছে দেশীয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিকস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহসামগ্রী, চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস সামগ্রী, স্যানিটারি ওয়্যার, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ঘড়ি, হোম অ্যাপ্লায়েন্স, ইমিটেশন জুয়েলারি, সিরামিকস, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, আসবাবপত্র ও হস্তশিল্পজাত পণ্য, নোভেলেটি ও উপহার সামগ্রী, কনস্ট্রাকশন সামগ্রী, হোম ডেকর, ফার্নিচার অন্যতম। পণ্যের দামে ক্ষেত্রে ১০০ থেকে শুরু করে ১ কোটি টাকার জিনিস বিক্রি হতে দেখা যায়। ১ কোটি টাকার বিছানা কিংবা ২৬ হাজার টাকার কলম দেখা মিলেছে এই বারের আসরে।

প্রথম দিকে ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপস্থিতি কম থাকলেও শেষদিকে মেলায় ভীড় দর্শনাথীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। তবে মেলার স্টলগুলোতে বেচাকেনায় সন্তুষ্ট নন ব্যবসায়ীরা। তাদের বিক্রির টার্গেট পূরণ হয়নি। রূপাঞ্জেল কসমেটিকসের হিসাব রক্ষক জাহেদুল হাসান বলেন, আমরা মেলায় ব্যবসা উদ্দেশ্য নিয়েই শুধু আসি না। আমরা রপ্তানির একটা গতি তৈরি করার জন্যও মেলাতে অংশগ্রহণ করি। এই বছর সেটা পরিপূর্ণ হলো না।

এদিকে ক্রেতা কম হওয়ার কারণ হিসেবে বাণিজ্য মেলার স্থান পরিবর্তনকে মনে করেন অনেক বিক্রেতা। তারা বেশি ক্রেতা পাবার প্রত্যাশা করেছিলেন।দুই বছর আগে শেরেবাংলা নগরে অনুষ্ঠিত মেলায় অনেক বেশি বিক্রি হতো। এক গ্রাহক একাধিকবারও মেলায় আসতেন। কিন্তু এখানে এমনটা হয়নি বলেছেন বেøজার ওয়ার্ল্ড এর মালিক সাফায়েত চৌধুরী।

তবে অনেক ব্রিক্রেতারা বলেছেন, গতবারের তুলনায় এইবার তাদের বিক্রি ভালো হয়েছে। করোনার পর অনেকে এইবার মেলায় এসছেন। বিশেষ করে মেলায় ক্রোকারিজ, পোশাক, জুতা, জুয়েলারি, খেলনাসহ বিভিন্ন গৃহস্থালি পণ্যের স্টলে বেশি ভিড় করছেন ক্রেতারা। ফলে অন্যদের তুলনায় এসব পণ্যের বিক্রেতারা বেশি খুশি।

প্রতিবারের মতো ক্রেতাদের আলাদা আকর্ষণ ছিল দৃষ্টিনন্দন বিদেশি পণ্যের স্টল-প্যাভিলিয়নে। তবে এবারো অভিযোগ উঠেছে বিদেশি প্যাভিলিয়নে বিক্রি হচ্ছে দেশীয় পণ্য। ক্রেতাদের অভিযোগ তাদের সুপরিকল্পিতভাবে ঠকানো হচ্ছে। তারা যাচ্ছেন বিদেশি স্টলে, কিনছেন দেশি পণ্য। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন কাঙ্খিত জায়গা না পাওয়ায় তারা অন্যদের প্যাভিলিয়নে দোকান নিয়েছেন। এক্ষেত্রে আলদা দেখা যায় তুরস্ক প্যাভিলিয়নে। বরাবরই ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় আলাদাভাবে নজর কাড়ে তুরস্কের বাতিঘর। এখানে মেলে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেলে তৈরি তৈজসপত্র, গহনা এবং ঘর সাজানোর নানা উপকরণ। তুরস্কর স্টলের দাম বেশী থাকায় বিক্রয় কম হলেও দর্শনার্থী বেশী দেখা যায়। #কাশেম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:১৩ পূর্বাহ্ণ
  • ১২:০০ অপরাহ্ণ
  • ৪:৩১ অপরাহ্ণ
  • ৬:২৮ অপরাহ্ণ
  • ৭:৪৭ অপরাহ্ণ
  • ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12