দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
হাইকোর্টের নির্দেশে দুদকের করা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ-১ আবুল কাশেমের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন আমান উল্লাহ আমান। ওই আদালতের বিচারক জামিন আবেদন শুনানি শেষে তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন আবেদনকারী আমানের আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম।

জানা যায়, রোববার দুপুরের বিচারিক বিশেষ জজ আদালতে হাজির হন আমান উল্লাহ আমান। এর আগেই বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী পুরান ঢাকার আদালত চত্বরে হাজির হন। এরপর পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ তাদের আদালত চত্বর থেকে বের করে দেয়। এ সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা সেখানে শ্লোগান দেন।

উল্লেখ্য,২০০৭ সালের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানকে তিন বছরের কারাদÐ দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন পর গত ৩০ মে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল পুনঃশুনানি শেষে আমান- সাবেরার কারা দÐ বহাল রেখে রায় দেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের দ্বৈত বে ।

রায় পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। গত ৭ আগস্ট সেই রায় প্রকাশ হয়।এরপর রায়ের নির্দেশনা মোতাবেক আমানের স্ত্রী সাবেরা আমান গত ৩ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করেন। পরদিন তিনি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত থেকে জামিন পান। অর্জিত সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদÐ দেওয়া হয়।এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন।

পরে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে হাইকোর্টে পুনঃশুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়। আপিল বিভাগের এই রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে আবেদন করেন আমান। পরে সে আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। # কাশেম