দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
মহান ১ মে দিবসের শ্রমিক সমাবেশে বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শ্রমিকনেতা আবু হাসান টিপু বলেছেন ,গার্মেন্টস মালিকরা সরকারের মধ্যে আরেক সরকার রূপে আবির্ভূত হয়েছেন ।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনার ভয়াল আক্রমনে বাংলাদেশও যেখানে আক্রান্ত, সন্ত্রস্ত দেশএবং ঢাকা নারায়ণগঞ্জ গাজীপুরসহ সারাদেশেই হচ্ছে করোনার য়াবহতা।
শুক্রবার (১ মে) নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়াস্থ শহীদ মিনারের সামনে অনুষ্ঠিত শ্রমিক সমাবেশে আবু হাসান টিপু এসব কথা বলেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অনুষ্ঠিত শ্রমিক সমাবেশ শেষে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে লাল পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি শ্রমিকনেতা সুমন হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ শ্রমিক সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শ্রমিকনেতা মাহমুদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, শ্রমজীবী নারী মৈত্রী’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নারীনেত্রী রাশিদা বেগম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা আইয়ুব আলী, রোকসানা বেগম, মোহাম্মদ আলী প্রমূখ।
আবু হাসান টিপু বলেন, কমিউনিটি ট্রান্সমিশন এই রকম একটি জাতীয় দূর্যোগকালেও মুনাফালোভী গার্মেন্টস মালিকরা প্রায় ৪৫ লক্ষ শ্রমিকের জীবন নিয়ে এক নোংরা খেলায় মেতে উঠেছেন।
বরাবরের মতো রাষ্ট্রের সকল যন্ত্রগুলো এই বুর্জোয়া কারখানা মালিকদেরই পক্ষাবলম্বন করছে এমন কি মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতার উপর ছেড়ে দিয়ে লিখছেন শ্রমিকের ভাগ্য।
ফলে শ্রমিকরা হয়ে পরেছেন অসহায়। চরম স্বাস্থ ঝুকি নিয়েই তাদের কাজে যোগ দিতে হচ্ছে। ফলস্বরূপ করোনার সংক্রামন বিস্তার লাভ করলে কেবল শ্রমিকরাই নন ক্ষতিগ্রস্থ হবেন গোটা জাতি।
আবু হাসান টিপু বলেছেন , বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেখানে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে লকডাউন, কারফিউ এমন কি রাস্তায় দেখা মাত্র গুলি করার নির্দেশ দিচ্ছে সেখানে বাংলাদেশে গার্মেন্টসের মতো শ্রমঘন প্রতিষ্ঠান চালু রাখা কি কোন ভাবেই সমিচিন?
গার্মেন্টস চালু রাখার আত্মঘাতি সিদ্ধান্তে সরকার বিরোধীতাতো করছেই না বরং গার্মেন্টস মালিকদেই পক্ষ নিচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে প্রণোদনাভোগী এই গার্মেন্টস মালিকরা যেন দেশের সরকারের মধ্যে আরেক সরকার রূপে আবির্ভূত হয়েছেন। তারাই নিয়ন্ত্রন করছেন সরকার ও সরকারী সিদ্ধান্ত।
তিনি আরও বলেন, দেশের এই চরম বাস্তবতায় শ্রমজীবী মানুষকে মজুরী দাসত্বের শৃংখল ভাঙ্গার লড়াইয়ে সামীল হয়ে চুরান্ত মুক্তির জন্য সংগঠিত হওয়া ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই। দেশের প্রচলিত পুরাতন প্রথার বিলুপ্তির মাধ্যমে নতুন সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই শ্রমিকশ্রেণির স্বপ্নের দুনিয়া বিনির্মানের প্রতিশ্রতি বাস্তবায়ন করতে হবে। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।