দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) বিভিন্ন ওয়ার্ডে অসহায়, দুঃস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) পর্যন্ত ডিএনসিসি এলাকায় ডিএনসিসি, ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ এবং অন্যান্য জনপ্রতিনিধির উদ্যোগে মোট ১ লাখ ৫৬ হাজার ১৬৬টি পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
শুক্রবার ৮ হাজার ৬৫৪টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে ডিএনসিসি কর্তৃক ৭ হাজার ২১টি, কাউন্সিলরদের উদ্যোগে ১ হাজার ৫৫টি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে ১২৮টি এবং অন্যান্যের উদ্যোগে ৪৫০টি পরিবারকে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
ডিএনসিসির পক্ষ থেকে আজ শুক্রবার পর্যন্ত মোট ৭৯ হাজার ৬৬০টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। বিতরণকৃত ত্রাণের মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তেল, লবন, সাবান, শিশুখাদ্য। এ সকল ত্রাণসামগ্রী ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মাধ্যমে অসহায় ও দুঃস্থ মানুষদের আবাসস্থলে গিয়ে বিতরণ করা হয়।
নিম্নমধ্যবিত্ত ত্রাণসামগ্রী প্রত্যাশীদের জন্য ডিএনসিসির নগরভবনে স্থাপিত কন্ট্রোল রুমে দুইটি হটলাইন খোলা হয়। যারা হটলাইনে কল করে ত্রাণের জন্য আবেদন করেছেন যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাদের আবাসস্থলে গিয়ে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়। হটলাইনে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের জন্য তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তি কাজে লাগানো হচ্ছে।
হটলাইনে ত্রাণসামগ্রীর জন্য কল করা ব্যক্তির নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর একটি গুগল ফরমে ইনপুট দেওয়া হয়, যা সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ গুগল চার্টে দেখতে পান। যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে একজন ‘ডেলিভারি পারসন’ হটলাইনে কল করা ব্যক্তির আবাসস্থলে ত্রাণ পৌঁছে দিয়ে গুগল ফরমে তা রিপোর্ট করেন। ডিএনসিসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ একটি গুগল অ্যাপের মাধ্যমে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের ‘রিয়েল-টাইম’ মনিটর করেন। ত্রাণসামগ্রী বিতরণের ‘সফটওয়্যার’ অংশটুকু ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম প্রস্তুত করেন।
ডিএনসিসির কাউন্সিলরগণ ব্যক্তিগত উদ্যোগেও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছেন। এ পর্যন্ত ৬৪ হাজার ৬২৫ টি পরিবারের মাঝে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এ সকল ত্রাণসামগ্রী তারা তাদের নিজ-নিজ ওয়ার্ডে বসবাসরত অসহায়, দুঃস্থ ও ছিন্নমুল মানুষের আবাসস্থলে পৌঁছে দিচ্ছে। ত্রাণসামগ্রী বিতরণের ক্ষেত্রে সঙ্গত কারণে কে এলাকার ভোটার আর কে ভোটার নয় তা বিবেচনায় আনা হচ্ছে না। এমনকি জাতীয় পরিচয়পত্রও দেখা হচ্ছে না।
ডিএনসিসি এলাকায় ডিএনসিসি এবং ডিএনসিসির ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ ছাড়াও অন্যান্য জনপ্রতিনিধি, প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি সংস্থা, সামাজিক সংগঠন, সমাজকর্মীদের পক্ষ থেকে আজ শুক্রবার পর্যন্ত ১১ হাজার ৮৮১ টি পরিবারকে ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হয়। # প্রেসবিজ্ঞপ্তি ।