আবুল কাশেম , দূরবীণ নিউজ :
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও ৪ নং ওয়ার্ডের তিনবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর মো. জামাল মোস্তফা প্রানঘাতী নোভেল করোনা ভাইরাসের (কোভিড – ১৯) হিংস্র থাবাকে উপেক্ষা করে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নগরবাসীর সেবায় ছুটে বেড়াচ্ছেন। একই সাথে তার বাসস্থান মিরপুর ১৩ নম্বরে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিটি বাসা বাড়ির লোকজনের সুখ দু:খের খোঁজ খবরও নিচ্ছেন।
এলাকার লোকজন জানান, জামাল মোস্তফা নিজের পরিবারকে করোনার ঝুঁকিতে ফেলে দিন রাত ২৪ ঘন্টা ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় ডিএনসিসির ত্রান ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের সরাসরি খোজঁ খবর নিচ্ছেন। পাশাপাশি স্থানীয় ৪নং-ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে প্রতিটি অলিতে গলিতে ছুটে বেড়াচ্ছেন। তিনি নিজে উপস্থিত থেকে অসহায়, কর্মহীন ও দুস্থ পরিবারের বাসা বাড়িতে প্রয়োনীয় খাবার সামগ্রী ছৌঁছে দিচ্ছেন।তিনি একইসাথে এলাকার লোকজনকে করোনা পরিস্থিতিতে নিজ নিজ বাসা বাড়িতে অবস্থান করারও অনুরোধ জানাচ্ছেন। নগরবাসীর সেবায় জামাল মোস্তফার নিজস্ব কর্মীরা এবং ডিএনসিসির কর্মকর্তা- কর্মচারীরাও জীবনের ঝুঁকির মধ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।
এদিকে অনলাইন নিউজ পোটাল ‘ দূরবীণ নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে’ করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ডিএনিসিসিতে নাগরিক সেবা এবং করোনায় মারাত্নক ঝুঁকিপূর্ণ ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সার্বিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ডিএনসিসির ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে মো. জামাল মোস্তফা বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়েই দিন রাত ২৪ ঘন্টা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছুটে বেড়াচ্ছেন। কারণ এটা তার নৈতিক দায়িত্ব।
তিনি বলেন, প্রানঘাতী নোভেল করোনা ভাইরাসের (কোভিড – ১৯) হিংস্র থাবায় বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্ব স্থবির হয়ে পরেছে। ইতোমধ্যে সরকার সমগ্র বাংলাদেশকে ঝুকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করেছে। ইতোমধ্যে ডিএনসিসির ৪ নং ওয়ার্ডে করোনাভাইরাসরে ( কোভিড- ১৯) হিংস্র থাবায় ২ জনের মৃত্যূ হয়েছে।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশ এবং নির্বাচিত মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের পরামর্শ মোতাবেক পরিকল্পিতভাবে ডিএনসিসির প্রতিটি এলাকায় অসহায়, কর্মহীন ও দুস্থ পরিবারের বাসা বাড়িতে প্রয়োনীয় খাবার সামগ্রী ছৌঁছে দিচ্ছেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর, জনপ্রতিনিধিরা। পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্চাসেবী সংগঠনের লোকজনও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছেন।
জামাল মোস্তফা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে তার নিজের (ওয়ার্ড) ৪ নম্বর ওয়াডে ডিএনসিসির ত্রান তহবিল থেকে ২,৯০৬টি পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি তার ব্যাক্তিগত তহবিল, বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের সমন্বয়ে আরও ২,৭০০টি পারবারকেসহ এপর্যন্ত ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তার মাধ্যমে সর্বমোট ৫, ৬০৬ টি পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ৪ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে বাসায় বাসায় গিয়ে স্থানীয় প্রতিনিধি ও সামাজিক ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে দিনমজুর -গরীব দুখি সহ যাদের প্রয়োজন পৌছে দেওয়া হয়েছে। ৪ নং ওয়ার্ড এর এই বিশাল জনগোষ্ঠী যার প্রায় অর্ধেকই নিম্নবিত্ত পরিবার এই জনগোষ্ঠীর জন্য আসলে ৫, ৬০৬ ত্রান খুবই অপ্রতুল। তবে আরো ত্রাণ সামগ্রী প্রয়োজন রয়েছে। এই কার্যক্রম এর বেশীরভাগই আপনারা বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়াও অনেকে প্রতক্ষ্য করেছেন বা অবহিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, সুশৃঙ্খলার সাথে সমন্বয় করে সকল পরিবার যাদের প্রয়োজন তাদের তালিকা অনুযায়ী ত্রান সরবরাহ করা হচ্ছে নতুনভাবে ত্রান আসা মাত্রই ক্রমিক অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে সকলকেই পৌছে দিতে পারবো, ইনশাআল্লাহ।
জামাল মোস্তফা এলাকাবাসীর উদ্যেশে বলেন, অতীতের মতো এখনো আপনাদের সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য । কারণ একটি কুচক্রী মহল বিভিন্নভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রান বিতরণ কার্যক্রম কে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
৪ নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনগন এটা মনে প্রানে বিশ্বাস করে যে, আমি (জামাল মোস্তফা) নগর পিতা হিসেবে ৫৪ টি ওয়ার্ডে ত্রান কার্যক্রমসহ সকল কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করছি। আর আমার ( তার ) বাসস্থান ও প্রাণের ৪ নং ওয়ার্ডে ত্রাণ নিয়ে কোনো ধরনের অনিয়ম হচ্ছে না এবং আগামীতেও কোনো ধরনের অনিয়ম হতে দেবেন না বলে প্রতিশ্রু দিয়েছেন তিনি।
পরিশেষে জামাল মোস্তফা তার এলাকাবাসীসহ পুরো নগরবাসীর উদ্যেশে বলেন, আপনারা কোনো ধরনের গুজব ,মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। সমাজে চিহ্নিত অপশক্তির বিরুদ্ধে আরো সতর্ক থেকে ডিএনসিসির এবং স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের চলমান সেবামূলক কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আহবান জানিয়েছেন তিনি। চলমান নাগরিক সেবামূলক কাজের বাধাগ্রস্তকারী ওইসব অপশক্তির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলারও অনুরোধ জানান।
বর্তমানে জামাল মোস্তফা ডিএনসিসির ভারপ্রাপ্ত মেয়র, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর উত্তরে, কাফরুল থানার সভাপতির দায়িত্বে আছেন। #