দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
আমেরিকায় করোনাভাইরাসে সিনিয়র সাংবাদিক স্বপন হাই সহ ২৫জন বাংলাদেশির মৃত্যু। গত ৩০ মার্চ স্থানীয় সময় দুপুরে দৈনিক মানবজমিনের সিনিয়র ক্যামেরাপারসন স্বপন হাই নিউইয়র্কের কুইন্স হসপিটালে মারা যান।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ কিডনি জটিলতায়ও ভুগছিলেন বলে জানা যায়। সাংবাদিক স্বপন হাইয়ের বড় ভাই প্রবাসী আবদুল মতিন গণমাধ্যমকে এই খবর নিশ্চিত করেছেন।আরো জানা য়ায়, এ ছাড়া জ্যামাইকার হিলসাইড ১৫০ বসবাররত নিশাত চৌধুরী (৩২) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন।
সিলেটের গোলাপগঞ্জের লক্ষ্মীপাশা গ্রামের প্রয়াত তাহির চৌধুরীর মেয়ে নিশাত স্বামীসহ জ্যামাইকায় থাকতেন। চার-পাঁচ দিন আগে অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে যান তিনি। সোমবার সকালে হাসপাতাল থেকে ফোন করে তাঁর মৃত্যুর সংবাদ পরিবারকে জানানো হয়েছে।
এর আগে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে রোববার রাত পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নিউইয়র্কে আরও আটজন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কে ২৩ বাংলাদেশির মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে সর্বমোট ২৫ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে বলে সোমবার দুপুর পর্যন্ত জানতে পেরেছি।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৮ মার্চ মৃত্যু হয়েছিল কায়কোবাদ, শফিকুর রহমান মজুমদার, আজিজুর রহমান, মির্জা হুদা, বিজিত কুমার সাহা, মো. শিপন হোসাইন, জায়েদ আলম ও মুতাব্বির চৌধুরী ইসমত। এ ছাড়া মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ড্রেটয়েট সিটি ও নিউজার্সির প্যাটারসনে দুই বাংলাদেশি নারীর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। তাঁদের দুজনের দেশের বাড়ি বৃহত্তর সিলেটে বলে জানা গেছে।
করোনাভাইরাসে একের পর এক প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যুর ঘটনায় কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোকে স্তব্ধ কমিউনিটিতে অনেক প্রবাসীর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে বাংলা সংবাদমাধ্যমের ইলিয়াস খসরু, ফরিদ আলম ছাড়াও চিকিৎসক আতাউল ওসমানী, সাবেক ছাত্রনেতা শাহাব উদ্দিন, কমিউনিটি নেতা ফরহাদ আহমেদ চৌধুরীসহ অনেকের জন্য স্বজনেরা দোয়া প্রার্থনা করেছেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর অনেকেই করোনা আক্রান্ত কি না, জানতেও পারছেন না।
পরিস্থিতি নাজুক হচ্ছে। ঘরে ঘরে লোকজন ফোন করে একে অন্যের খোঁজ নিচ্ছেন। কেউ কিছু করতে পারছেন না। চরম অসহায় বাস্তবতায় লোকজনের বাঁচার আর্তি চারদিকে। # কাশেম