দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বলেছেন, দুর্নীতির সবচেয়ে বেশি শিকার হচ্ছেন গ্রামের সহজ-সরল মানুষ। তাই দুদক শুধু শহুর নয় তৃণমূল পর্যায়েও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
তিনি বলেন, কখনও কখনও তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে আমাদের পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে তৃণমূল পর্যায়ের অনেক কমকর্তা-কর্মচারীকে আইন-আমলে নিয়ে আসে দুদক।
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অর্গানইজেশন এন্ড সোস্যাল ইনফরমেটিকসের পরিচালক গিলিয়ান ওলিভার ও ড. ল্যারি স্টিলম্যানের নের্তৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সেগুনবাগিচায় দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সাথে তার কার্যালয়ে সাক্ষাতকালে তিনি এসব বলেন।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, কমিশনের গবেষণা, তথ্য প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দ্বি-পাক্ষিক বিষয়াদি নিয়ে তাঁরা আলোচনা করেন। আলোচনার শুরুতেই ড. ল্যারি স্টিলম্যান জানান, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন উৎস থেকে আমরা জেনেছি দুর্নীতি দমন কমিশন দুর্নীতি প্রতিরোধে সৃজনশীল এবং প্রশংসনীয় বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এসব কার্যক্রম বিশেষ করে প্রযুক্তিগত উন্নয়নে তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে।
দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলটি স্বাগত জানিয়ে বলেন, মোনাশ বিশ^বিদ্যালয়ের মতো একটি বিখ্যাত বিশ^বিদ্যালয় দুদকের একাডেমিক পার্টনার হলে কমিশন প্রযুক্তিগত, গবেষণা, অপরাধবিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিষয়ে আরো সৃজনশীল এবং উদ্ভাবনীমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে।
দুদক চেয়ারম্যান কমিশনের প্রতিরোধ অনুবিভাগের মহাপরিচালকের উদ্দেশ্যে বলেন, কমিশন এবং মোনাশ বিশ^বিদ্যালয় যেসব ক্ষেত্রে যৌথভাবে কাজ করতে পারে প্রথমে সেগুলোকে চিহ্নিত করতে হবে। পরবর্তীতে পারস্পরিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।
দুদক চেয়ারম্যান প্রতিনিধি দলের উদ্দেশ্যে বলেন, মোনাশ বিশ^বিদ্যালয়ের কারিকুলাম সংক্রান্ত ইৎঁপযঁৎব (ব্রুশিয়ার) অনুসারে যেসব কোর্সে আমাদের কর্মকর্তাদের পেশাগত সক্ষমতা বাড়াতে কাজে লাগবে, সেসব বিষয়ে আমরা অধিকতার গুরুত্ব দিতে চাই। রিয়েল টাইম ইনভেস্টিরগশন ও প্রসিকিউশনে আমাদের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করার সুযোগ থাকলে ভাল হয়।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমরা কি করি এবং আমরা কি করতে চাই তার ওপর ভিত্তি করেই আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে হবে। আমরা চাই গবেষণার মাধ্যমে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, সততা সংঘ, সততা স্টোর এবং গণশুনারি মতো কার্যক্রমের ফলাফল নিরুপণ করে, প্রযুক্তি মাধ্যমে এসব কার্যক্রমের একটি কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থাপনা।
উদাহরণ স্বরুপ তিনি বলেন, সততা সংঘের কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং মনিটরিংযের ক্ষেত্রে দুদক, সততা সংঘের সদস্য, সরকার, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, বিদ্যালয় এবং বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনার সাথে যারা জড়িত তাদের সকলের সমন্বিত ও কার্যকর প্রযুক্তিগত সংযোগ সৃষ্টি করার ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন। তাই প্রথমেই পারস্পরিক সহযোগিতা ক্ষেত্র সমূহ চিহ্নিত করতে হবে।
শুধু তাই নয়, কমিশনের অধিকাংশ গণশুনানি বাস্তবায়ন করা হয় তৃণমূল পর্যায়ে। গণশুনানির মাধ্যমে অসংখ্য সমস্যার সমাধান হচ্ছে জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাধারণ মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে হচ্ছে। জনগণও তাদের অধিকার আদায়ে সচেতন হচ্ছেন। দুর্নীতিবিরোধী সচেতনতা বাড়ছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুদকের প্রতিরোধ অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল, তদন্ত অনুবিভাগের মহাপরিচাল মোঃ জাকির হোসেন প্রমুখ। # কাশেম