দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
ভারতের উত্তর প্রদেশের সোনভদ্রে ৩০ বছরের চেষ্টায় দু’দুটি সোনার খনি উদ্ধার হয়েছে ৷ এমনটাই ছিল ব্রেকিং নিউজ ৷ খবরটি দিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের এক জেলা কর্মকর্তা। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সব আশা শেষ ৷
জিএসআই ডিরেক্টর জেনারেল এম শ্রীধর আজ, শনিবার কলকাতায় পিটিআই-কে জানালেন, ‘‘ সোনভদ্রে কতটা পরিমাণ সোনা পাওয়া গেছে, বা আদৌ পাওয়া গিয়েছে কী না, তার কোনো হিসেব জিএসআইর কাছে নেই ৷ উত্তর প্রদেশের সোনভদ্র জেলায় এত পরিমাণ টন সোনার হিসেব আমাদের কাছে নেই ৷’’ সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা নিউজ১৮ ৷
তিনি আরো বলেন, উত্তরপ্রদেশের ওই অঞ্চলে ১৯৯৮-৯৯ এবং ১৯৯৯-২০০০ সালে খননের কাজ চালায় জিএসআই৷ একটা রিপোর্ট দেয়া হয়েছিল উত্তর প্রদেশের ডিজিএম-কে ৷ যাতে ভবিষ্যতে আরো ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয় ৷
খোঁড়াখুঁড়ি শুরু সেই ১৯৯২ সালে। সোনার সন্ধানে উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রে খোঁড়াখুড়ি শুরু করে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। কিন্তু সোনার কণারও সন্ধান মিলছিল না। ২৮ বছর পর নাকি এসেছিল হাতেনাতে রেজাল্ট। একটা নয়, দু-দুটি সোনার খনি। জোড়া সোনার খনি আবিস্কারের নমুনা ভারতে কেন, এশিয়াতেই খুব বেশি নেই। তাতেই আনন্দে মেতেছিল উত্তর প্রদেশ-সহ গোটা ভারত ৷ কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই সব আশা শেষ ৷
দাবি করা হচ্ছিল, সোনপাহাড়ি ও হরদি ব্লক এলাকায় সোনার ভাণ্ডার রয়েছে ৷ দুটি খনিতে ৫৮ হাজার ২৮৬ টন আকরিক সোনা মজুত রয়েছে ৷ ভারতে এই মুহূর্তে মোটে ৩টি খনি থেকে সোনা তোলা হয়। ১২টি খনি পরিত্যক্ত ঘোষণা হয়েছে। বাঙালি হোক বা গুজরাতি- সোনা নিয়ে ভারতীয়দের প্রবল আগে।
সোনা বড় আদরের ধন। তাই সোনার ভান্ডার মেলার খবরে অনেকেই খাতা কলম নিয়ে বসেছিলেন। বাজারে ১০ গ্রাম সোনার দাম প্রায় ৪২ হাজার রুপি। এই অবস্থায় সোনার খনির খোঁজে আশাবাদী ছিলেন অনেকেই। কিন্তু জিএসআই-এর ডিরেক্টর জেনারেলের কথায় সবাইকে হতাশই হতে হলো ৷ #