দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী বাবুলকে প্রায় ৯ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আসামি ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পন করলে বিচারক শেখ আশফাকুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মাহমুদুল হক মাহমুদ গণমাধ্যমকে জানান, সাবেক সিভিল সার্জন নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পনের শর্তে হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন।
মেয়াদ শেষে গত সপ্তাহে তিনি চট্টগ্রামের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। ওই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারক আজ আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।
গত ২৫ নভেম্বর দুদকের চট্টগ্রাম এক নম্বর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক বাদি হয়ে ডা. সরফরাজসহ ৭ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বাজার দরের চেয়ে বেশি দামে যন্ত্রপাতি কিনে ৯ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ২০১৪ সালে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জন্য যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে এ দুর্নীতি হয়।
আসামিদের মধ্যে ওই হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরফরাজ ছাড়াও সিনিয়র কনসালট্যান্ট (মেডিসিন) ডা. মো. আব্দুর রব, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অর্থোপেডিক সার্জারি) ডা. মো. মইন উদ্দিন মজুমদার ও সিনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি) ডা. বিজন কুমার নাথও রয়েছেন।
বাকি ৩ জন হলেন- যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মো. জাহের উদ্দিন সরকার, মেসার্স আহম্মদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুন্সী ফারুক হোসেন ও এএসএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আফতাব আহমেদ।
২০১৫ সালে দুদক অনুসন্ধানে নামে। এর প্রেক্ষিতে একাধিক বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে যন্ত্রপাতির বাজার দর নিরূপণ করা হয়। # কাশেম