দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
নোয়াখালি বিআরটিএ কার্যালয়ে নানাবিধ সেবা প্রদানে অনিয়ম, হয়রানি ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান দুদক জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।
তিনি জানান , সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) নোয়াখালী জেলা কার্যালয় এর সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে প্রাথমিকভাবে ছদ্মবেশে উক্ত কার্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দুদক টিম। মনির আহমেদ নামে এক ব্যক্তির (৭০) হাতে লাইসেন্স সংক্রান্ত কিছু কাগজপত্র দেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদে দুইজন দালাল (সুমন ও বাচ্চু) চক্রের নির্দেশে তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। তার নিকট থাকা পকেট নোটবুকে উক্ত দালালদের ফোন নম্বর পায় টিম। দুদক টিমের তৎপরতা দেখে আশেপাশে থাকা উক্ত দালালেরা পালিয়ে যায়।
দালালের উক্ত সহযোগীর নিকট হতে মুচলেকা নেয়া হয় এবং ভবিষ্যতে তিনি এরুপ অনৈতিক কাজের সাথে সম্পৃক্ত হবেন না মর্মে অঙ্গীকার করেন। টিম উক্ত বিআরটিএ কর্তৃপক্ষকে দালালদের দৌরাত্ম্য রোধে সচেষ্ট হবার অনুরোধ জানান।অন্ধদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ তাদের মাঝে ব্যয় না করে আত্মসাৎ করার অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। খুলনা জেলা কার্যালয় কর্তৃক সমাজসেবা অধিদপ্তর, খুলনার অধীন “সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রম” নামীয় প্রতিষ্ঠানে আজ এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে অভিযুক্ত রিসোর্স শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে অভিযান পরিচালনাকারী টিম।
এছাড়াও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সাময়িক সনদ প্রদানে ঘুষ আদায়ের অভিযোগে, প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ভাতার কার্ড প্রদানে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে এবং খাজনা জমা ও নামজারি বাবদ ঘুষ দাবি ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে যথাক্রমে প্রধান কার্যালয়, নোয়াখালী জেলা কার্যালয় ও পাবনা জেলা কার্যালয় হতে ৩টি পৃথক অভিযান পরিচালিত হয়েছে। # কাশেম