দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাসকে তরুণ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরে আসন্ন মুজিব বর্ষে জাতিকে উজ্জীবিত করার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি ) প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে তার জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদের সম্পূরক প্রশ্নের উত্তর একথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এ সময় সংসদে সভাপতিত্ব করেন। খবর বাসস।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মুক্তিযোদ্ধাদের বলবো যে, বর্তমান যুগের শিশু-কিশোর,যুবকদেরকে এই মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে যে যেখানে আছেন, তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, কাহিনী শোনান। যেভাবে তারা যুদ্ধ করেছেন সেই যুদ্ধের গল্প তাদের কাছে বলুন।’
তিনি বলেন, ‘তারাও যেন একটা দৃঢ়চেতা মনবল নিয়ে গড়ে উঠতে পারে। দেশকে ভালবাসতে পারে। দেশ গড়ে তুলতে পারে’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর পরই যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা পদক দেয়া হয়েছে। তাছাড়া তিনি যখন ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করেন তখনও অনেক মুক্তিযোদ্ধাদের সার্টিফিকেট দেন। যারমধ্যে প্রায় ৭০ হাজার সার্টিফিকেট নিজে স্বাক্ষর করে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্য হলো পরবর্তীতে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে সেগুলোকে বাতিল ঘোষণা করে। কিন্তু অনেকেই সেটা রেখেছিলেন, যেটা এখনও কাজে আসে।’
শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতির জন্য তাদেরকে বিভিন্ন সম্মাননা পদক আমরা দিয়েছি এবং তাঁদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেছি। অথচ ’৭৫ এ জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর এমন দিনও এসেছিল যে, কেউ নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিতেই ভীত সন্ত্রস্থ ছিল। এখন আর সেটা নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই সময়ের তরুণ সমাজ জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। কাজেই তাঁদেরকে যথাযথ সম্মান আমরা ফিরিয়ে দিয়েছি।
তিনি বলেন,‘কাজেই এ সম্মানটাইতো সবচেয়ে বড় পদক। এরচেয়ে বড় পদক আর কি হতে পারে। যে মর্যাদাটা আমরা দিয়েছি সেটাইতো বড় পদক।#