দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
গাজীপুরে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা এক দম্পতিকে মারধরের পর পুনরায় অপহরণ ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই বিষয়ে ভিকটিম দম্পতি মো. ফয়েজ আহমেদ বাবু ও তার স্ত্রী মোছা. হোসনে আরা বেগম সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
কিন্তু ওই এলাকায় আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অথচ পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না বলেও অভিযোগ ওই পরিবারের। পরে নিরুপায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি ও র্যাব প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন অসহায় ভিকটিম দম্পতি।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী দম্পতি মো. ফয়েজ আহমেদ বাবু ও তার স্ত্রী মোছা. হোসনে আরা বেগম।
লিখিত বক্তব্যে মো. ফয়েজ আহমেদ বাবু জানান, গত ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে গাজীপুরের দেওড়া কাজীবাড়ী কাজী বাবুর সমিতির অফিসের সামনের পাকা রাস্তা থেকে তাকে সন্ত্রাসী মো. সাইফ ও তার সহযোগী সন্ত্রাসী কাজী বাবু, মো. জয়নাল, মো. পাপ্পু, মো. লিমন, মো. রিপন ও অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জন অস্ত্র দেখিয়ে গতিরোধ করে।
পরে তারা হত্যার হুমকি দিয়ে জোড়পূর্বক সন্ত্রাসী সাইফের বাসায় নিয়ে আটক করে তার স্ত্রী হোসনে আরা কোথায় আছে তা জানতে ব্যাপক মারধর করে। এক পর্যায়ে তারা বলে যদি হোসনে আরার সন্ধান না দিস তাহলে তোকে হত্যা করা হবে। তারা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও মাথায় আঘাত করে গুরুতর জখম করে ও হাতের আঙুল ভেঙ্গে ফেলে।
লিখিত বক্তব্যে মো. ফয়েজ আহমেদ বাবু আরও জানান, তিনি নিজেকে বাঁচাতে চিৎকার করে সাহায্য চাইলে সাইফের নির্দেশে সন্ত্রাসীরা শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা চালায় এবং পুনরায় লাঠি, হকস্টিক, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে মারাত্মক জখম করে।
পরে তাকে হত্যা করে লাশ গুমের হুমকি দেয়। পরে স্থানীয়রা ৪ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে সাইফের বাড়ি থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সুস্থ্য হওয়ার পর তিনি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে গাজীপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
কিন্তু পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এর ফলে সন্ত্রাসী সাইফ ও তার সহযোগিরা তাকে ও তার স্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেয়া অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে তারা জীবন বাঁচাতে আত্মগোপনে থাকতে ও পালিয়ে বেড়াতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানান তিনি। #