দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ঢাকা উত্তর সিটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। আর এই অভিযোগ এনেছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী তাবিথ আওয়াল।
আগামী ১০ জানুয়ারি সব প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে কোনো প্রার্থী নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে পারবে না বলে নির্বাচনী আচরন বিধিতে উল্লেখ রয়েছে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন তাবিথ আওয়াল।
রিটার্নিক কর্মকর্তার কাছে অভিযোগপত্রে তাবিথ লিখেন, আতিকুল ইসলাম শনিবার ( ৪ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে গুলশান-১ এর গুলশান পার্কে দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনি মঞ্চ করে মাইক এবং সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করে নিজের পক্ষে ভোট চান এবং ভোটারদের কাছে যাওয়ার জন্য দিকনির্দেশনা দেন। যা আচরণবিধির স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং গর্হিত অপরাধ।
তাবিথ আওয়াল বলেন, নির্বাচন কমিশন আমাদের আশ্বাস দিয়েছিল যে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়ং ফিল্ড বিদ্যমান থাকবে। নির্বাচনি আচরণবিধি সব প্রার্থীর জন্য সমানভাবে প্রয়োগ করা হবে এবং তা তদারকির জন্য মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন থাকবে।
কিন্তু দুঃখের বিষয়ে শনিবার আতিকুল ইসলাম আচরণবিধি লঙ্ঘন করে একটি নির্বাচনি জনসভা করলেন। কিন্তু আপনার অধীনস্থ কোনো আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এই বিধিমালা লঙ্ঘনকারী প্রার্থীকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টাও করেননি।
অভিযোগের পক্ষে কিছু স্থিরচিত্র সংযোগ করে দেয়া লিখিত পত্রে তাবিথ অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
সিটি কর্পোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি-৫ অনুসারে প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা দুই সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৯ জানুয়ারি, প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ১০ জানুয়ারি। #