দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, উগ্রবাদী গোষ্ঠী আইএসকে পরাজিত করার কারণেই ইরাকের জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছে মার্কিন সরকার। তিনি দেশ প্রেমিক ইরাকের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাশদ আশ-শাবির ওপর মার্কিন বাহিনীর সাম্প্রতিক হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে এবং ইরান সরকার কঠোর ভাষায় আমেরিকার এই পরশ্রীকাতরতার নিন্দা জানাচ্ছি।’ খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম পাসটুডে’র ।
বুধবার ( ১ জানুয়ারি) রাজধানী তেহরানে এক অনুষ্ঠানে আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এসব কথা বলেছেন।
খামেনি বলেন, ইরাক এবং সিরিয়ায় আমেরিকা কি করছে তা আপনারা সবাই দেখছেন। প্রকৃতপক্ষে, আমেরিকা ইরাকের হাশদ আশ-শাবির ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছে এই কারণে যে, জনপ্রিয় এ সংগঠনটি আমেরিকার সৃষ্টি করা উগ্রবাদী গোষ্ঠী আইএসকে নির্মূল করার কাজে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে।
গত রোববার মার্কিন বাহিনী হাশদ আশ-শাবির একটি কেন্দ্রে বিমান হামলা চালায় যাতে অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ইরাকের জনগণ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবং গতকাল রাজধানী বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে তারা হামলা চালায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দূতাবাসে হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে এর জন্য চরম মূল্য দিতে হবে বলে টুইটারে যে হুমকি দিয়েছেন তারও জবাব দেন সর্বোচ্চ নেতা।
তিনি বলেছেন, এই ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভুল করেছেন এবং এবং এখানে ইরানের কোনো দায় নেই বরং আপনাদেরকেই এর দায় দায়িত্ব নিতে হবে। এই যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তার মূল কারণ আপনাদেরকে বুঝতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে তারা কখনো তা বোঝার চেষ্টা করবেন না।
সর্বোচ্চ নেতা বলেন, আমেরিকানদেরকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, ইরাক এবং আফগানিস্তানসহ এ অঞ্চলের মানুষ তাদের অপরাধের জন্য তাদেরকে কতটা ঘৃণা করে।
খামেনি আরো বলেন, ইরান যদি কোনো দেশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে সেটি প্রকাশ্যে করে। কিন্তু সবাইকে বুঝতে হবে যে, ইরান তার নিজের জাতীয় স্বার্থ ও জনগণের মর্যাদা রক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু কেউ যদি ইরানের বিরুদ্ধে হুমকি সৃষ্টি করে তাহলে তা নস্যাৎ করতে ইরান কখনো দ্বিধা করে না।
তিনি ইরানি জনগণকে সাহসী ও সতর্ক হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং যেকোনো সম্মুখযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত বলে ঘোষণা করেন। #