দূরবীন নিউজ প্রতিবেদক :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ৬ দিনের ব্যবধানে দুইবার সন্ত্রাসী হামলার শিকার হলেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর ও তার অনুসারীরা। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা এই হামলার নেতৃত্বে ছিলেন। খবর বিভিন্ন গণমাধ্যম।
রোববার ( ২২ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১টায় ভিপি নুরের উপর হামলার সময় এতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন বলে জানা গেছে। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ডাকসু ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে নুরের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করা হয়। এছাড়া বাইরে থেকেও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল ছুড়েন। এতে নুরসহ বেশ কয়েকজন রক্তাক্ত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নুরসহ সবাইকে কক্ষের লাইট অফ করে দিয়ে মারধর করা হয়। আহত হয়ে কয়েকজন সেখানেই পড়ে আছেন। প্রক্টরিয়াল টিম গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছেন। কয়েকজনকে অ্যাম্বুলেন্স এবং রিকশাযোগে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এর আগে ১৭ ডিসম্বের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলা চালিয়ে তার দুই আঙুল ভেঙে দেয় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ওইদিনের হামলায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ১০জন আহত হন।
তারা জানান, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী এ হামলায় অংশ নেন।
এসময় ডাকসুর সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য তাদেরকে বাধা দিতে গেলে তাকেও শিবির আখ্যা দিয়ে লাঞ্ছিত করেন মঞ্চের নেতাকর্মীরা।
পরে সূর্যসেন হল সংসদের ভিপি মারিয়াম জামান সোহান এবং জিএস সিয়াম হামলায় অংশ নেন। তারাও লাঠিসোটা নিয়ে ভিপি নুর এবং অনুসারীদের মারধর শুরু করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি এখনও শান্ত হয়নি।
তারা আরো জানান, ঘটনার সময় ভিপি নুরের কক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন। সবাই মিলে মারধর করে নুরের কক্ষ থেকে পাঁচ জনকে বের করে দেন।
একপর্যায়ে সনজিত ও সাদ্দাম সেখান থেকে বেরিয়ে আসলে অন্য একটি গ্রুপ ডাকসু ভবনে প্রবেশ করেন। একপর্যায়ে তারাও নুরসহ অন্যদেরকে মারধর শুরু করেন। #