দূরবীন নিউজ ডেস্ক :
আসামে কারফিউ শিথিল কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) গুয়াহাটিতে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এবং ধিব্রুগড়ে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ২টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। ওদিকে নাগাল্যান্ডে ধর্মঘট করছে শিক্ষার্থীরা।
শনিবার নাগা স্টুডেন্টস ফেডারেশন (এনএসএফ) আধা বেলার ধর্মঘট আহ্বান করে। স্কুল, কলেজ ও বাজারঘাট এতে বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তাঘাটে গাড়ি চলাচল করেনি বললেই চলে। দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর প্রদেশ ও কেরালায়ও বিক্ষিপ্তভাবে বিক্ষোভ হয়েছে।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় ধর্মঘট শুরু হলেও নাগাল্যান্ডে কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনার খবর পাওয়া যায় নি। তবে ধর্মঘটের কারণে সব রকম কর্মকা- ব্যাহত হয়েছে। রাজ্যের রাজধানী কোহিমা একদম ফাঁকা। বেশির ভাগ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে ধর্মঘটের সময়। এনএসএফের ভাইস প্রেসিডেন্ট দিয়েভি ইয়ানো সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মূল অধিবাসীদের অনুভূতির বিষয়টি আমলে নেয়া হয় নি। কেন্দ্রীয় সরকার যে অবিচার করেছে তাতে পুরোপুরি ক্ষুব্ধ এনএসএফ। তিনি বলেন, আমরা কখনোই এই নাগরিকত্ব সংশোধনীতে সমর্থন দেবো না। এটা দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর পূর্বাঞ্চলের মানুষদের বিভক্ত করছে। তিনি বলেন, সব অবৈধ অভিবাসীকে সমানভাবে দেখে এনএসএফ। তাই ধর্মের ভিত্তিতে অবৈধ অভিবাসীদের শ্রেণিকরণে বিশ্বাস করে না এনএসএফ।
নাগরিকত্ব সংশোধন বিলের পক্ষে নাগাল্যান্ড থেকে ভোট দিয়েছেন নাগা এমপি তোখেহো ইফেথোমি (লোকসভার সদস্য), কেজি কেনিয়া (রাজ্যসভার সদস্য) এবং মনিপুর থেকে লোরহো এস পফোজে (লোকসভা)। এ জন্য তাদের নিন্দা জানায় এনএসএফ।
ছাত্রছাত্রীদের এই সংগঠন আরো বলেছে, তারা নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশনের (এনইএসও) অংশ। তাই সংশোধিত আইন যাতে ওই অঞ্চলে কার্যকর না হয় তা নিশ্চিত করতে সব রকম কর্মসুচি পালন করবে তারা।
অনলাইন জি নিউজ লিখেছে, সোমবার থেকে এ পর্যন্ত বিক্ষোভে নিহতরা হলেন তিনসুকিয়া, ধিব্রুগড় ও গুয়াহাটির। এমন অবস্থায় ২২ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত আসামে সব স্কুল, কলেজ বন্ধ করা হয়েছে।
ওদিকে গুয়াহাটি ও ধিব্রুগড়ে কারফিউ শিথিল করা হলেও ১০টি জেলা লক্ষীপুর, তিনসুকিয়া, ধেমাজি, ধিব্রুগড়, চারাইডেও, শিবসাগর, জোরহাট, গোলাগহাট, কামরুপ (মেট্রো) এবং কামরুপে ইন্টারনেট সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। প্রতিবাদ বিক্ষোভের কারণে রাজ্যে রেল চলাচল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ জন্য ভারতীয় রেলওয়ে অনেক ট্রেন বাতিল, আংশিক বাতিল, গতিপথ ঘুরিয়ে দেয়া এবং নতুন করে শিডিউল দিয়েছে। #