দূরবীন নিউজ প্রতিবেদক :
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান বলেছেন, দেশে দুর্নীতির ব্যপকতা রয়েছে। দেশে ক্রমাগত দুর্নীতির ধরন পরিবর্তন হচ্ছে। দুর্নীতির নানা চিত্র আমাদের কাছে পরিস্কার হচ্ছে। তবে দুর্নীতি করে কেউ পার পাবেন না ।
তিনি বলেন, যারা সজ্ঞানে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন , তাদেরকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে। দুর্নীতিপরায়নরা অপরাধের ধরন পরিবর্তন করছে। ফলে দুদককেও তাদের ধরার জন্য নতুন নতুন কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের ধরা পড়তেই হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুন্য সহিষ্ণুতা নীতি কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুদকের গঠিত প্রাতিষ্ঠানিক টিমের প্রতিবেদেনের মানোন্নয়নে টিমের দলনেতা, বিশেষ তদন্ত অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও পরিচালকদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন ।
গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।
তিনি জানান, আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদক মহাপরিচাল (বিশেষ তদন্ত) সাঈদ মাহ বুব খান, পরিচালক নাসিম আনোয়ার, সৈয়দ ইকবাল হোসেন, মঞ্জুর মোরশেদ প্রমুখ।
ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান দুদক কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, জনশ্রুতি রয়েছে এমন ২৫টি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করে তা কিভাবে দূর করা যায় এমন সুপারিশ সংবলিত প্রতবেদন প্রণয়নের জন্যই কমিশন ২৫টি প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠন করেছিল। ইতোমধ্যেই ১৫টি প্রতিবেদন সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, দুদক প্রত্যাশা করে প্রাতিষ্ঠানিক টিমের এসব প্রতিবেদন হতে হবে তথ্য-উপাত্ত, রেফারেন্স এবং কেসস্ট্যাডির সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন। এসব প্রতিবেদন যাতে সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে বাকী প্রতিবেদনগুলো প্রণয়ন করতে হবে। এবং তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক খান বলেন, এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নিয়ম-কানুন, বার্ষিক প্রতিবেদন, অডিট রিপোর্ট, অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সাথে মতবিনিময়, স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা, গণমাধ্যমের তথ্য ,কমিশনের নিজস্ব গোয়েন্দ তথ্য বিশ্লেষণ করে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রণয়ন করতে হবে। #