দূরবীন নিউজ প্রতিবেদক :
২৮ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর স্নেহধণ্য ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত সফল সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ত্রয়োদশ মৃত্যুবার্ষিকী।
আর এই উপলক্ষে নানা কর্মসূচী রয়েছে। এরমধ্যে সকাল ১০টায় আজিমপুর কবর স্থানে কবর জিয়ারত, সকাল সাড়ে ১০ টায় আজিমপুরস্থ মেয়র মোহাম্মদ হানিফ জামে মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, সকাল সাড়ে ১১টায় নগর ভবনে স্বরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা মন্ডলীর সদস্য জনাব তোফায়েল আহমেদ এমপি সহ আওয়ামী লীগ নেতৃৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির কথা জানানো হয়।
ঢাকাবাসীর গর্ব, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ ও স্নেহভাজন, অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত সফল মেয়র এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ এঁর ত্রয়োদশ মৃত্যুবাষির্কী কাল ২৮শে নভেম্বর।
১৯৪৪ সালের ১ এপ্রিল ঢাকার সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন মোহাম্মদ হানিফ। ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর রাতে ৬২ বছর বয়সে ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মোহাম্মদ হানিফ ছাত্রাবস্থায় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে রাজনীতি শুরু করে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। ১৯৬৫ সালে বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিবের দায়িত্ব পান। এসময় ছয়দফা মুক্তি সনদ প্রণয়ন ও প্রচারে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও মহান মুক্তিযুদ্ধে তার বলিষ্ঠ ভ‚মিকা ছিল।
তিনি ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেয়া ঢাকা ১২ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। ’৭৬ সালে তিনি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৬ এর মার্চের শেষ সপ্তাহে স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনে মোহাম্মদ হানিফ তার বলিষ্ট ও গতিশীল নেতৃত্বে ”জনতার মঞ্চ” তৈরী করেন, যা তৎকালীন বিএনপি সরকারের পতন সহ আওয়ামী লীগের রাজনীতির জন্য টানির্ং পয়েন্ট তৈরী করে এবং যার ফলশ্রুতিতে ’৯৬-এর ১২জুন দেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে গনজোয়ার সৃষ্ঠি করে এবং মোহাম্মদ হানিফের প্রাণপ্রিয় সংগঠন আওয়ামী লীগের নিরংকুশ বিজয়ে গুরুত্বর্পন ভুমিকা রাখে।
২০০৪ সালের ২১শে আগষ্ঠ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশের ট্রাক মঞ্চে শেখ হাসিনার ওপর নারকীয় গ্রেনেড হামলার সময় নিজের জীবন তুচ্ছ করে মানবঢাল রচনা করে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে রক্ষা করেন মোহাম্মদ হানিফ। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রাণে রক্ষা পেলেও স্পিন্টারের আঘাতে মারাত্বক ভাবে আহত হন তিনি। মস্তিস্ক সহ দেহের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য স্পিন্টার ঢুকে পড়ে।
২০০৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী মুক্তাঙ্গণে এক সমাবেশে বক্তৃতা দেয়ার সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। মাথায় বিদ্ধ স্পিন্টার প্রতিক্রিয়া পরবর্তী সময়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ও অকাল মৃত্যুর কারণ হিসেবে কাজ করে।
মোহাম্মদ হানিফের ত্রয়োদশ মৃত্যুবার্ষিকীতে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী শোক বাণী দিয়েছেন। তাঁর একমাত্র পুত্র ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন পিতার মৃত্যুবার্ষিকীতে দেশবাসীর দোয়া কামনা করেছেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন সমুহ, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ স্মৃতি সংসদ সহ বিভিন্ন সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচীর আয়োজন করেছে। #