আবুল কাশেম ( দূরবীন নিউজ প্রতিবেদক ) :
অবশেষে জমেউঠেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) শ্রমিক কর্মচারী লীগের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। আগামী ১৬ নভেম্বর এই নির্বাচনে ১,৬১৮ জন ভোটার তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবার কথা রয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা মূলক এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ৪টি পরিষদ।
রোববার (১০ নভেম্বর) ডিএনসিসির এই নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. মফিজুর রহমান ভূাঁইয়া, নির্বাচন কমিশনার ফরিদ আহমেদ ও নির্বাচন কমিশনার মো. আবদুল কাদের প্রতিদ্বন্দ্বি ৪টি পরিষদের প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন।
তারাও চেষ্টায় আছেন উৎসব মুখর পরিবেশে সবার অংশ গ্রহণের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়ার। কাওরান বাজার এলাকায় ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয়ে ৮/১০টি পৃথক বুথে ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন নির্বাচন কমিশন।
তবে প্রতিদ্বন্দ্বি পরিষদের প্রাথীরা রাজধানীর উত্তরা, মিরপুর, গাবতলী ,গুলশান , মহাখালী ও কাওরানবাজার এলাকার ১,৬১৮ জন ভোটারের সার্থে কমপক্ষে ৩টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। আর এটা নিয়ে নিয়মিত দেন দরবার চলছে।
প্রার্থীদের বক্তব্য হচ্ছে, ১৬ নভেম্বর স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় কাউন্সিল ও কেন্দ্রিয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সবকিছু মিলে ওইদিন রাজধানীর অধিকাংশ রাস্তায় থাকবে যানজটন।
যারফলে ১৬ নভেম্বর ডিএনসিসির শ্রমিক কর্মচারী লীগের নির্বাচনে কমপক্ষে মিরপুর, মহাখালী এবং কাওরান বাজারে পৃথক ৩টা ভোট কেন্দ্র প্রয়োজন।
এছাড়া কাওরান বাজার এলাকায় খোলা আকাশের নিচে রোদে কিংবা ঠান্ডায় প্রায় আড়াই হাজর কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। এটাও এক ধরনের অমানবিক বিষয়। তাদের বসার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই।
জানা যায়, ডিএনসিসির শ্রমিক কর্মচারী লীগের নির্বাচনে সভাপতি, কার্যকরী সভাপতি, সহ সভাপতি ৪ জন, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক,সহ সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, অর্থ সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক , প্রচার সম্পাদক, সমাজ কল্যাণ ও ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, শ্রম ও আইন বিষয়ক সম্পাদক, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও একজন নির্বাহী সদস্য নিয়ে ১৭ সদস্যে কমিটি হবে।
বর্তমানে উৎসবমুখর পরিবেশে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিচ্ছে ৪টি পরিষদের নেতারাা। এরমধ্যে বজলুল মোহাইমিন বকুলের নেতৃত্বে ‘বকুল-হারুন- রোকন’ কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ ছাতা মার্কা।
মো. আবদুর রশিদের নেতৃত্বে ‘রশিদ-কাদের- বাবুল’ শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ চেয়ার মার্কা। মো. জামাল হোসেনের নেতৃত্বে ‘জামাল- সোহেল- মাহতাব’ শ্রমিক কর্মচারী সততা পরিষদ বেলচা মার্কা। এছাড়াও মেহনতী পরিষেদের নামে আনারস মার্কায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আরো একটি পরিষদ।
এদিকে নাম না প্রকাশের শর্তে ডিএনসিসির সাধারণ কর্মচারীরা জানান, শ্রমিক কর্মচারী লীগের এই নির্বাচন অনেক কঠিন হচ্ছে। কারণ এই নির্বাচনে এবার নবীন, প্রবীন ক্লিন ইমেজের নম্র ভদ্র , সৎ এবং কর্মচারী বান্ধব প্রার্থী রয়েছেন। যাদের নামের ওপরই সাধারণ কর্মচারীদের অনেকেই সন্তোষ্ট।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) সৃষ্টির পর থেকে নির্বাচন ছাড়াই এপর্যন্ত শ্রমিক কর্মচারী লীগের নেতৃত্বে যারা ছিলেন, তাদের নেতৃত্বে র ভাল মন্দ সব কিছু বিশ্লেষন করা হচ্ছে । সাধারণ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য কার কি অবদান রয়েছে, ওই সব বিষয় নিয়েও গবেষণা চলছে। একই সাথে ডিএনসিসির মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সচিব এবং বিভাগীয় প্রধানসহ উধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কোন পরিষদের কোন নেতাদের ভাল সম্পর্ক রয়েছে এসব বিষয় নিয়েও নানা কথা হচ্ছে। #