নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. আবুল কাশেম মোল্লাকে
একটি মাদরাসার তহবিল লুটপাট ও শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ক্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (২৬ মে) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। দুদক সূত্রে জানা যায়, কাশেমকে এক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদক কর্মকর্তা। আবুল কাশেম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শাহ আলী থানার সাধারণ সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন কাশেম।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, মিরপুরের শাহ আলীতে মসজিদুল আকবর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আবুল কাশেম সরকারি অ্যাকাউন্ট থেকে ৩২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ আছে। কাশেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ছাত্র-ছাত্রীদের বেতনসহ সব সরকারি টাকা এবং মাদরাসার আয়ের টাকা বাংলাদেশ মাদরাসা গেজেটের ৪৫ (৪) ধারায় নগদ আয়কৃত অর্থ ব্যাংকে জমা না দিয়ে সরাসরি সরকারি আইন লঙ্ঘন করেছেন।
প্রতিষ্ঠানের আয় করা অর্থ ১৯৮৬ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মাদরাসার অগ্রণী ব্যাংক হিসাবে জমা হতো। কিন্তু মসজিদুল আকবর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার বর্তমান সভাপতি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আবুল কাশেম মোল্লা (আকাশ) কারসাজি করে ২০১৬ সাল থেকে মাদরাসা আইনের তোয়াক্কা না করে নিজের মতো কিছু টাকা অ্যাকাউন্টে জমা করে বাকি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
দুদক সূত্র আরও জানায়, আবুল কাশেম মোল্লা ক্ষমতার অপব্যবহার করে গত ১০ থেকে ১৫ বছরে ১০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়েছেন। তিনি ১৫ বছর আগেও ফুটপাতে কাঁচামালের ব্যবসা করতেন এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কাউন্সিলর হওয়ার পর তিনি আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। এসব অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে এরই মধ্যে মাদরাসার সংশ্লিষ্ট নথিপত্র এবং আবুল কাশেমের ব্যক্তিগত নথিপত্র তলব করে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েছে দুদক। বর্তমানে নথিপত্র যাচাই-বাছাই চলছে।