দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডেই জনবহুল স্থানে প্রয়োজনীয় করেগণশৌচাগার নির্মাণেরা কথা বলেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে বংশালের নয়াবাজার এলাকায় ‘নয়াবাজার গণশৌচাগার’ এর উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা বলেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, ৪ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতাহার মিয়া এবং কাউন্সিলর মধ্যে ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আব্দুল মান্নান, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইলিয়াছুর রহমান, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের আয়শা মোকাররমসহ করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “ঢাকায় এক কোটির ঊর্ধ্বে জনগণের বসবাস। সেই প্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বিশেষত কর্মজীবী নারীদের জন্য গণশৌচাগার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। বংশাল একটি ঐতিহ্যবাহী ও অত্যন্ত জনবহুল একটি এলাকা। যারা এই এলাকায় দূর-দূরান্ত হতে ব্যবসায়িক কাজে এবং কর্মনির্বাহ করার জন্য আসেন, এটি তাদের জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক হবে। আমরা প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে জনগণের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা নির্ণয় করছি। সেই জায়গাগুলোতে আমরা নতুন করে গণশৌচাগার নির্মাণ করে চলেছি। যে জায়গাগুলোতে জনসমাগম রয়েছে, সে সকল জায়গায় প্রয়োজনীয়তা অনুসারে প্রতিটি ওয়ার্ডেই আমরা গণশৌচাগার নির্মাণ করব।”
এ পর্যন্ত নতুন ৬টি ওয়ার্ডে গণশৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে এবং ৫টি ওয়ার্ডে নতুন গণশৌচাগার নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে জানিয়ে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “আজকে বংশালের এই গণশৌচাগারসহ আমরা ইতোমধ্যে নতুন করে ৬টি ওয়ার্ডে নতুন গণশৌচাগার উদ্বোধন করেছি। আরও ৫টি ওয়ার্ডে গণশৌচাগার নির্মাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় অনেকগুলো গণশৌচাগার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অনেকগুলো দখল অবস্থায় ছিল। আমরা সেগুলো দখলমুক্ত ও সংস্কার করে চালু করেছি। আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো, প্রতিটি ওয়ার্ডেই অন্তত ১টি করে গণশৌচাগার নির্মাণ করা। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী আমরা সেটা বৃদ্ধি করব।”
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাব বলেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ওয়াসার কাছ থেকে হস্তান্তরের পর বাৎসরিক সূচি অনুযায়ী জানুয়ারি মাস হতে আমরা খাল এবং নর্দমা হতে বর্জ্য ও পলি অপসারণ করে চলেছি। যাতে করে বর্ষা মৌসুমের আগেই সেগুলো পরিষ্কার হয় এবং জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয়। এছাড়াও জিরানি, মান্ডা, শ্যামপুর ও কালুনগর খাল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আমাদের যে প্রকল্প পাস করে দিয়েছেন, সে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। জিরানি খালের ত্রিমোহনী হতে আমাদের কাজ শুরু হয়েছে। আমরা এখন পূর্ণরূপে খনন, বর্জ্য অপসারণ এবং সীমানা চিহ্নিতকরণ করছি। সীমানা নিশ্চিত করে আমরা সেখানে বেষ্টনী দিবো। এ নিয়ে আমাদের পরামর্শকরা কাজ করেছেন। সেখানে হাঁটার পথ, সাইকেল চালানোর পথ, গণপরিসর সৃষ্টি, সবুজায়ন করা হবে। যাতে করে এলাকার জনগণ একটি উপভোগ্য নান্দনিক পরিবেশ পায়। আগামী ২ বছর মেয়াদে এই প্রকল্পের শেষ হবে। আমরা আশাবাদী, এতে করে স্থায়ীভাবে খালগুলো দখলমুক্ত হবে।”
পরে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস হাজারিবাগ এলাকার ১৪ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডে গরীব-দুস্থ জনগোষ্ঠীর মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।
# একে