দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
সারাদেশে রোগী বহনকারী বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সকে বাণিজ্যি করণের বিষয়ে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তার জবাব চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালত একই সঙ্গে ভাড়ায় চলাচলের সময় বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সকে জরিমানা না করার নির্দেশ কেনো দেওয়া হবে না, তারও জবাব চাওয়া হয়েছে।
হাইকোর্ট আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ, ট্রিপল নাইন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বে এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি গ্রহণ করে বিবাদীদের প্রতি একাধিক রুল জারি করেন। আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এস এস আরেফিন জুননুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার এস এস আরেফিন জুননুন।
এর আগে গত সপ্তাহে মোহাম্মদপুরের শরিফুল আলম মেহেদী নামে এক অ্যাম্বুলেন্সের মালিক রিট দায়ের করেন। রিটে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সকে বানিজ্যিকরণের বিষয়ে বিআরটিএ’র নিস্ক্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। আইনজীবী এস এস আরেফিন জুননুন বলেন, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ২৮ ধারায় ভাড়ায় চলাচলের জন্য রুট পারমিটের বিধান রয়েছে। কিন্তু ওই আইনের ৩১ ধারায় অ্যাম্বুলেন্সের ক্ষেত্রে রুট পারমিট প্রযোজ্য নয় মর্মে বিধান রাখা হয়েছে।এরূপ ক্ষেত্রে ওই আইনের ৩১ ধারা মোতাবেক রুট পারমিট ছাড়া চালানো যায়, এ ধরনের মোটরযানকে কর্তৃপক্ষ বিশেষ ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ ওই বিধান প্রতিপালন না করেই বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সসহ সরকারি অ্যাম্বুলেন্সকে ভাড়ায় চালানো যাবে না মর্মে রেজিস্ট্রেশন দেয়। যা আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ কারণে অ্যাম্বুলেন্সকে বানিজ্যিকরণের বিষয়ে বিআরটিএ’র নিস্ক্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করি।#