বিশেষ প্রতিনিধি:
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, বঙ্গবাজারের অগ্নিকাÐে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যাপ্ত অনুদান দেবেন। মেয়র তাপস বলেন, পূর্বেকার পরিকল্পনা অনুযায়ী বঙ্গবাজারে নতুন করে পাইকারী মার্কেটই নির্মাণ করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ীদের নিয়ে বসব। তারা কিভাবে চায়। প্রধানমন্ত্রীকেও আমরা ভবনের নকশাটি দেখাব। এটা পাইকারী বাজার। আমরা এটাকে পাইকারী মার্কেট হিসেবেই তৈরি করব এবং যারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত — নতুন ভবনে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তাদেরকেই আগে পুনর্বাসিত করা হবে।’

বুধবার (৫ এপ্রিল) নগরীর খিলগাঁও এলাকায় ‘ গোড়ান খেলার মাঠের’ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এসব কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৯ আসেনর সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, অ ল-২ এর আ লিক নির্বাহী কর্মকর্তা সোয়ে মেন জো, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম, কাউন্সিলরদের মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মাহবুবুল আলম, ২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আনিসুর রহমান, সংরক্ষিত আসনের ফারজানা ইয়াসমিন বিপ্লবী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র শেখ তাপস বলেন, ‘ কোনো দুর্যোগ হলে প্রথম কাজ হলো উদ্ধার তৎপরতা। সেটি গতকাল সম্পন্ন হয়েছে। এখন আমরা মানবিক দিকগুলো বিবেচনা করে পরিপূর্ণভাবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের এবং বিনিয়োগকারীদের সাথে এবং পাশে থাকব। আমার সাথে প্রধানমন্ত্রীর আজ সকালে কথা হয়েছে। উনি বলেছেন, আমরা তালিকা করে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করার পরেই সকল ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পর্যাপ্তভাবে তিনি অনুদান দিবেন। যাতে করে তারা আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে। তারা যেন আবার এই ব্যবসায় নামতে পারে। তাদের পুঁজি হিসাবে ব্যবহার করতে পারে। সেই দিকটাই এখন আমাদের সকলের অগ্রাধিকার।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবাজারে বহুতল ভবন নির্মাণের কথা থাকলেও মামলার কারণে তা করা যায়নি। সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। মামলার কারণে সেটা বাস্তবায়ন হয়নি। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা এখন বিপর্যয়ের মধ্যে আছে। কিছুদিন সময় দিতে হবে। মানবিক দিক নির্ণয় করে তারা যাতে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে — তাদেরকে অনুদান দিয়ে আমরা সেটা নিশ্চিত করব। তারপর তারা যাতে সেখানে সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে সেজন্য আমরা নতুন একটি পরিকল্পনা নিয়ে তাদের সাথে বসব। সেটা নিশ্চিত করার পরেই আমরা ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করব।’

এই অগ্নিকাÐ কোনও ধরনের পরিকল্পিত নাশকতা কিন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এটি একটি দুর্ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে। তারপরেও, এটি কোথা থেকে শুরু হয়েছে এবং কিভাবে শুরু হয়েছে তা তদন্তেই বেরিয়ে আসবে।’

এরপর মেয়র গোড়ান খেলার মাঠ সংলগ্ন এলাকায় নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম, পান্থপথ বক্স কালভার্ট এবং আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলে চলমান উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য যে, ২৫.৬২ কাঠা জমির উপর এই খেলার মাঠের উন্নয়ন কার্যক্রম ২০২৪ সালের ১ ফেব্রæয়ারী সমাপ্ত হবে। ৬ কোটি ছত্রিশ লক্ষ ছাপ্পান্ন হাজার টাকা ব্যয়ে এই মাঠের উন্নয়ন কার্যক্রমে ৪টি প্রবেশ গেইট, ১ তলা বিশিষ্ট ১টি বিল্ডিং, ১টি ফুটবল খেলার মাঠ, ১টি ক্রিকেট নেট পিস, ১টি মাল্টিপারপাস কোর্ট, ১টি বাস্কেটবল কোর্ট, ২টি গ্যালারী, বাচ্চাদের জন্য খেলার মাঠ ১টি, ১টি ব্যায়ামাগার এবং মহিলাদের জন্য বসার স্থান ১টি ইত্যাদি সুবিধা সংযোজন করা হবে। #