সর্বশেষঃ
রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে  আকর্ষণ সন্ধ্যায় ড্রোন শো নববর্ষের দিনে পূর্ব রাজাবাজারে রাস্তা প্রশস্তকরণ পরিদর্শন করেন, রাজউক চেয়ারম্যান নাড়ীর টানে বাড়িতে ছুটছেন, ট্রেন,বাস ও লঞ্চে স্বাধীনতার ৫৫ বছরেও বৈষম্য ঘুচেনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শুভেচ্ছা  দেশের মর্যাদা বাড়াতে সবাইকে কাজ করতেঃ অর্থ উপদেষ্টা রাষ্ট্রীয় সংস্কার  বিহীন নির্বাচন  মেনে নেবে না: নাহিদ সিলেটেরভোলাগঞ্জে পাথর চুরির দায়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ৪ জন বরখাস্ত শাহজালালসহ আন্তর্জাতিক ৩ বিমান বন্দর প্রকল্পের ৮১২ কোটি টাকা দুর্নীতি ,১৯জন বিরুদ্ধে দুদকের ৪ মামলা ঋণগ্রহীতার প্রতিষ্ঠানের সামনে পরিকল্পিতভাবে মানববন্ধন; টার্গেট সামাজিকভাবে হেনস্তা করা
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১১ পূর্বাহ্ন

হলমার্ক ঋণ কেলেঙ্কারি সোনালী ব্যাংকের এমডি হুমায়ুনের অবৈধ সম্পদের মামলা

দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
ব্যাংকিং সেক্টরে প্রথম আলোচিত হলমার্ক ঋণ কেলেঙ্কারি ও প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা লোপাটের সহযোগী ছিলেন সোনালী ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হুমায়ুন কবির। এবার হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে নতুন করে অবৈধ সম্পদের অভিযোগে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে দুদর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সূত্র মতে, হুমায়ুন কবিরের সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ রয়েছে,তার নিজ নামে ৫৪ লাখ ৫১ হাজার ৬৯২ টাকার স্থাবর সম্পদ ও নগদ স্থিতিসহ ৬০ লাখ ২৬ হাজার ৭৭০ টাকার অস্থাবর সম্পদের কথা। তিনি ১ কোটি ১৭ লাখ ৭৮ হাজার ৪৬২ টাকার সম্পদের হিসাব দিয়েছেন। সম্পদ বিবরণীতে গৃহ নির্মাণ ঋণ হিসাবে ৭ লাখ ২১ হাজার ৮৭৪ টাকা দায় দেনার কথা বলেছেন। আর হুমায়ুন কবীরের ২ কোটি ৪৯ লাখ ৫৪ হাজার ৫৩৭ টাকার পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ মোট অর্জিত সম্পদের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৫৭ লাখ ১১ হাজার ১২৫ টাকা।

দুদকের অনুসন্ধানে হুমায়ুন কবীরের গ্রহণযোগ্য আয়, ৩ কোটি ৭ লাখ ৭৪ হাজার ৭৫৬ টাকা। এক্ষেত্রে তার আয়ের চেয়ে ৪৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩৬৯ টাকা বেশি পাওয়া যায়। যা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জিত বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণীত।

অপরদিকে হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী আয়েশা বেগম রীতার দাখিল করা সম্পদ বিবরণী পর্যালোচনায় দেখা যায়, তার নিজ নামে ৫২ লাখ ৯৯ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৫৪ লাখ ৭২ হাজার ৮৯৯ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ১ কোটি ১৭ লাখ ৭৯ হাজার ৭৩৫ টাকার সম্পদের তথ্য রয়েছে। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে ওই সম্পদ অর্জনের বিপরীতে আয়েশা বেগম রীতার ১ কোটি ১৬ লাখ ৯৪ হাজার ১০১ টাকার সম্পদের আয় পাওয়া যায়। অর্থাৎ রীতার ৮৫ হাজার ৬৩৪ টাকার বেশি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ কম পাওয়ায় মামলার সুপারিশ থেকে বিরত থেকে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দেখার জন্য অনুরোধ করেছেন অনুসন্ধানকারী।

উল্লেখ্য, ব্যাংকিং সেক্টরে প্রথম আলোচিত হলমার্ক ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ইতোমধ্যে ফান্ডেড ১ হাজার ৯৫৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে ৩৮ মামলার চার্জশিট দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যা আদালতে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে ডজনের বেশি মামলার প্রধান আসামি আলোচিত হুমায়ুন কবির। তবে আদালতের রায়ে একটি মামলায় ১৭ বছর সাজা প্রাপ্ত হয়েছেন তিনি।
বর্তমানে দুদকের ভাষ্যমতে পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামী হুমায়ুন কবির। তবে এবার তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মামলার প্রস্তুতি চলছে। সোনালী ব্যাংকের সাবেক এই এমডির বিরুদ্ধে অর্ধকোটি টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পেয়েছেন দুদক। যার প্রেক্ষিতে হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলার সুপারিশ করা হয়েছে।

হলমার্ক কেলেঙ্কারি ঘটনায় অন্তত ১১টি মামলার অভিযোগপত্রে অন্যতম প্রধান আসামি তিনি। বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। পলাতক অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অনুসন্ধানকালে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়নি। ২০১২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মামলার আগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়েছিল। এরপর আর দুদকের ডাকে সাড়া দেননি কিংবা তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
সোনালী ব্যাংকের শেরাটন শাখা থেকে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে হলমার্ক গ্রুপ ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মে পর্যন্ত ২ হাজার ৯৬৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। কেলেঙ্কারির ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর অনুসন্ধানে নামে রাষ্ট্রীয় সংস্থা দুদক।

অনুসন্ধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০১৪ সালে ফান্ডেড মোট ১ হাজার ৯৫৪ কোটি ৮৩ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৩ টাকা আত্মসাতের দায়ে ৩৮ মামলার চার্জশিট দেয় দুদক। তবে নন-ফান্ডেড প্রায় ১ হাজার ৭১০ কোটি টাকার দুর্নীতি অনুসন্ধান এখন পর্যন্ত শেষ করতে পারেনি সংস্থাটি। ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর ফান্ডেড ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২৭ জনকে আসামি করে ১১ মামলা এবং ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে ফান্ডেড প্রায় ৩৭২ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আরও ২৭ মামলা দায়ের করে দুদক। পরে ফান্ডেড মোট ১ হাজার ৯৫৪ কোটি ৮৩ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৪ সালের বিভিন্ন সময়ে ৩৮ মামলার চার্জশিট দেয় সংস্থাটি। মোট ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
হলমার্ক গ্রুপের এমডি তানভীর মাহমুদ, তার স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, তানভীরের ভায়রা ও গ্রæপের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ এবং হলমার্ক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ও সোনালী ব্যাংকের তৎকালীন শীর্ষ কর্তাদের আসামি করা হয়। হলমার্ক গ্রুপের মোট কারখানার সংখ্যা প্রায় ৪৩। এর মধ্যে ২১টিকে ঘিরেই সোনালী ব্যাংকের সব পাওনা রয়েছে।

এগুলো হলো- হলমার্ক ফ্যাশন, হলমার্ক ডিজাইন ওয়্যার, ওয়াল মার্ট ফ্যাশন, ইসলাম ফ্যাশন, ডন অ্যাপারেল, ফারহান ফ্যাশন, মাহমুদ অ্যাপারেল, হলমার্ক স্পিনিং, ববি ফ্যাশন, হলমার্ক ডেনিম কম্পোজিট, ববি ফ্ল্যাট বেড প্রিন্টিং, হলমার্ক অ্যাক্সেসরিজ, হলমার্ক নিট কম্পোজিট, ববি ডেনিম কম্পোজিট, হলমার্ক স্টাইল, পারফেক্ট এমব্রয়ডারি, হলমার্ক প্যাকেজিং, জিসান নিট কম্পোজিট, হলমার্ক নিটিং অ্যান্ড ডায়িং, আনোয়ার স্পিনিং ও ম্যাক্স স্পিনিং। শেষের দুটি কারখানা মূলত হলমার্কের সৃষ্টি করা বেনামি প্রতিষ্ঠান। এ দুটি কারখানার বিপরীতে প্রাপ্ত দেনা আদায়ে দেওয়ানি আদালতে মানিস্যুট মামলা করা হয়েছে । # কাশেম

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:২২ পূর্বাহ্ণ
  • ১২:০২ অপরাহ্ণ
  • ৪:৩০ অপরাহ্ণ
  • ৬:২৪ অপরাহ্ণ
  • ৭:৪০ অপরাহ্ণ
  • ৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12