দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
ডাক বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন ‘নগদের মোবাইল ব্যাংকিং’ কার্যক্রম পরিচালনা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তার জবাব চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। কারণ অস্থায়ী লাইসেন্স নিয়ে ‘নগদ’ রাজধানীসহ সারাদেশে স্থায়ীভাবে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে বিবাদী অর্থ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ডাক বিভাগের মহাপরিচালক ও নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বুধবার (২ নভেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বে এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন মিয়াজী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন।

গত ২৭ অক্টোবর অস্থায়ী লাইসেন্স নিয়ে নগদের মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. হাসানুজ্জামান ও মো. আবু বকর সিদ্দিক রিট আবেদন দায়ের করেন।

আদালতের বাইরে গণমাধ্যমকে হাইকোর্টের রুলের বিষয়টি জানিয়েছেন রিটকারী অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন মিয়াজী ও অ্যাডভোকেট মো. হাসানুজ্জামান। তারা বলেন, নগদ ২০১৯ সাল থেকে মোবাইল ফ্যাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। ২০১৮ সালের এমএফএস রেগুলেশন অনুযায়ী এমএফএস লাইসেন্স পাওয়ার জন্য শুধুমাত্র বাংলাদেশের তফসিলভুক্ত ব্যাংকগুলো আবেদন করতে পারবে। এরপরে ২০২২ সালে ২০১৮ সালের এমএফএস রেগুলেশনকে বিলুপ্ত করে নতুন রেগুলেশন করা হয়।

সে অনুযায়ী যেকোনো ব্যাংক,আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান এমএফএস লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবে।‘নগদ তাদের ব্যবসা পরিচালনার শুরু থেকেই বলে আসছে, তারা ডাক বিভাগের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। কিন্তু নগদের রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টোক কোম্পানিজের নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বাংলাদেশ ডাক বিভাগের কোনো শেয়ার নগদের নেই।’

রিটকারীরা আরও বলেন, বাংলাদেশ ডাক বিভাগের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক নগদকে একটি সাময়িক এমএফএস লাইসেন্স প্রদান করে। যা ২০১৮ এবং ২০২২ সালের এমএফএস রেগুলেশন অনুযায়ী আইনসিদ্ধ নয়। এ কারণে অস্থায়ী লাইসেন্স নিয়ে নগদের মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছেন।#