দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
আদি বুড়িগঙ্গার পূর্ণ রূপে ফিরে না আসা পর্যন্ত আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলের দখলমুক্তিতে উচ্ছেদ অভিযান, খনন ও বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (২ নভেম্বর) দুপুরে বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলে চলমান পরিষ্কার, খনন ও উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
মেয়র বলেন, “আমরা অক্টোবর থেকে আদি বুড়িগঙ্গা খনন, সীমানা নির্ধারণ এবং দখল মুক্ত করার কার্যক্রম শুরু করেছি। আজকে সেই কার্যক্রম পরিদর্শনে আমি আবারও এসেছি। আপনারা লক্ষ্য করেছেন, কালুনগর স্লুইস গেইটের যেই জায়গাটিতে আমরা দাঁড়িয়ে আছি, অক্টোবর মাসেও এখানে পুরো বন্ধ অবস্থায় ছিল। এখানে যে নদীর খাল বা অববাহিকা তা দৃশ্যমান ছিল না।
আজকে সেই নদীর পরিবেশ দৃশ্যমান হয়েছে। আমরা অনেক দখল মুক্ত করেছি। এখানে বিভিন্ন কারখানা, বড় বড় ভবন, দশতলা ভবন — সেগুলো ভাঙার প্রক্রিয়া এখনো চলমান রয়েছে। নদীর পাশ দিয়ে দুটি ঢাল বা দুটি তীর এখন দৃশ্যমান হয়েছে। এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। যতক্ষণ না পর্যন্ত পূর্ণরূপে আমরা আদি বুড়িগঙ্গা ফিরিয়ে আনতে না পারবো ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কাজ চলমান থাকবে।”
আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল উদ্ধার পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা জানিয়ে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “আদি বুড়িগঙ্গার পুরো ৭ কিলোমিটারই আমরা দখল মুক্ত করব। নতুন করে খনন করব এবং দুপাশ দিয়েই হাঁটার পথ, সাইকেল চালানোর পথ এবং নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করব। একা অত্যন্ত দুরুহ এবং বিশাল কর্মযজ্ঞ। আমরা শুরু করেছি মাত্র একটু সময় নিবে। কিন্তু আমরা আশাবাদী, ঢাকাবাসী একটি নান্দনিক পরিবেশ পাবে। নদীকে ফিরে পাবে।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “আমরা কেবল কাজ শুরু করলাম। এই কাজটি আমরা বর্ষা মৌসুমের আগে ভালো একটি অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই। কারণ বর্ষার মধ্যে কাজ করা আরও দুরূহ। সুতরাং আমি মনে করি যে, আগামী মার্চের মধ্যেই আমরা আরও অনেক কাজ দৃশ্যমান করতে পারব। নদীর অববাহিকা দেখতে পাবো।”
এর আগে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস ডেমরা এলাকায় দক্ষিণ সিটির ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের (এসটিএস) উদ্বোধন, ফ্রেঞ্চ রোডের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম ও মাজেদ সরকার সড়কের বর্তমান অবস্থা পরিদর্শন করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, অঞ্চল-৮ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডসমূহের কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলরবৃন্দ, দক্ষিণ সিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। # কাশেম