দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের যান্ত্রিক বিভাগের মাষ্টার অপারেটর মো.আজম খান এবং তার স্ত্রী মিসেস নাছিমা আক্তারের স্থাবর অস্থাবর সম্পদের হিসেব চেয়ে নোটিশ পাঠিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নোটিশ প্রাপ্তির ২১ কার্যদিবসের মধ্যে পাঠানো নির্ধারিত ছকে তাদের সম্পদের বিবরণী দুদক পরিচালক মো. আকতার হোসেন আজাদের দপ্তরে দাখিল করিতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শফিউল্লাহ গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো জানান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের যান্ত্রিক বিভাগের মাষ্টার অপারেটর মো.আজম খান এবং তার স্ত্রী মিসেস নাছিমা আক্তারের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগ প্রাথমিক যাচাই বাছাইয়ে এবং অনুসন্ধানেই বেরিয়ে এসেছে বিপুল পরিমান বৈধ এবং অবৈধ সম্পদের তথ্য। যা তাদের বৈধ ও জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতি রয়েছে। জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত স্বনামে এবং বেনামে বিপুল পরিমাণ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছেন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে দুর্নীতি দমন কমিশনের স্থির বিশ্বাস জন্মিয়েছে যে, তাদের অর্জিত বিপুল পরিমান অবৈধ সম্পদ রয়েছে।
যারফলে এই বিষয়টি আরো নিশ্চিত হবার জন্যই দুর্নীতি দমন কমিশনের ২০০৪ সালের ৫ নং আইনের ধারা ২৬ (১) ধারায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের যান্ত্রিক বিভাগের মাষ্টার অপারেট মো: আজম খান, তার স্ত্রী মিসেস নাছিমা আক্তার এবং তাদের উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের নামে/ বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়- দেনা, আয়ের উৎস ও উহা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে ২০০৪ সালের ৫ নং আইনের ২৬ (২) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। #