দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
সরকারি আদেশ অমান্য করে সরকারি কর্মকর্তাদের দফায় দফায় নানা প্রশিক্ষণ এবং সেমিনারে অংগ্রহণের নামে সপরিবারে বিদেশ সফরের অভিযোগ বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ঢাকা শহরের রাস্তার এলিডি বাতি জ্বালানো এবং রক্ষণা -বেক্ষনের কাজে মাঠ পর্যায়ের কোন কর্মকর্তা কিংবা ইলেকট্রিশিয়ানকে না পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা,তার স্ত্রী এবং সন্তানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া সরকারি প্রজ্ঞাপন অমান্য করে একজন মন্ত্রীর পিএস বিদেশে গেছেন। এই ধরনের আরও অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের নামে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা খরচের অভিযোগ ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। যারফলে সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশ সফর কমাতে নির্দেশনা রয়েছে।
কিন্তু ওই নির্দেশনা লঘ্ননের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন জনস্বার্থে একটি রিট আবেদন দায়ের করেন। তিনি রিট আবেদনে অপ্রয়োজনীয় সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশযাত্রা বন্ধে হাইকোর্টের রুল সহ নির্দেশনা চেয়েছেনে।
রোববার (৩১ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমদের দায়ের করা রিট আবেদনটি হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের দ্বৈত বেে শুনানির অনুমতি নেওয়া হয়েছে। রিট আবেদনে মন্ত্রী পরিষদ সচিব, দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
ব্যারিস্টার সুমন আদালতে গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপন অমান্য করে একজন মন্ত্রীর পিএস বিদেশে গেছেন এবং আরও অনেক কর্মকর্তা সরকারি প্রজ্ঞাপন অমান্য করে বিদেশে যাচ্ছেন।
এর আগে গত ১২ মে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধের বিষয়ে পরিপত্র জারি করে সরকার।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, করোনা–পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এক্সপোজার ভিজিট, শিক্ষা সফর, এপিএ এবং ইনোভেশনের আওতামুক্ত ভ্রমণ ও ওয়ার্কশপ বা সেমিনারে অংশগ্রহণসহ সব ধরনের বৈদেশিক ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। এ আদেশ উন্নয়ন বাজেট ও পরিচালন বাজেট উভয় ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। অবিলম্বে আদেশটি কার্যকর হবে।
সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত সভার পর গত ১১ মে অনলাইন মাধ্যমে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের বিষয়ে বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন, এখন থেকে বিদেশ সফর আর নয়। যদি বিশেষ কারণে কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে যেতে হয়, তাহলেই যাবেন, অন্যথায় নয়। সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর কমানো হচ্ছে। কমানো হবে।’#