দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলা বাতিল প্রসঙ্গে জারি করি রুল নিষ্পত্তির জন্য আগামী ১১ আগস্ট শুনানির দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২৫ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত বে এ আদেশ দেন। আদালতে শুনানিকালে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। অপরদিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
গত ২০ জুলাই কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে এ বিষয়ে পক্ষভুক্ত হওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। পাশাপাশি দুই মাসের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করা সংক্রান্ত আপিল বিভাগের আদেশও উপস্থাপন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সেটি শুনানির জন্যে আনা হয়।
গত ২০ জুলাই শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে জারি করা রুল দ্রæত শুনানির জন্য হাইকোর্টে উপস্থাপন করেন দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করার আগে তিনি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ বিষয়ে আবেদন করেন।
আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বলেন, মুহাম্মদ ইউনূসের আবেদনের প্রেক্ষিতে যে মামলাটি হাইকোর্ট স্থগিত করে ছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে যাওয়ার পর হাইকোর্টকে দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এখানে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে যিনি মামলাটি করেছিলেন, সে রুল চলমান থাকা অবস্থায় ওই আইনজীবী মারা গেছেন। তিনি মারা যাওয়ার পর থেকে কলকারখানার পক্ষ থেকে মামলাটি পরিচালনার জন্য আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সে কারণে আমি আদালতে একটি দরখাস্ত দাখিলের অনুমতি চেয়েছি। আর আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। যেহেতু আপিল বিভাগের নির্দেশনা রয়েছে দুই মাসের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করার জন্য। সে আদেশের কপিটি আমরা আদালতের কাছে দাখিল করলাম। তখন আদালত বললো আপনাকে অনুমতি দেওয়া হলো । তারই ধারাবাহিকতায় সেটি শুনানি হয়।
গত ২১ জুলাই শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলা বাতিলে জারি করা রুল শুনানির জন্যে আজকের দিন ঠিক করেন। গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪ এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। পরে ওই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দিয়েছিলেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে।
ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল গত ১৩ জুন দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। এসময় পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। #