সর্বশেষঃ
র‌্যাক স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল ফুটবলে ৪-০ গোলে বিজয়ী বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন ‘শেখ বশিরের’ বিরুদ্ধে হত্যা মামলা: বাদী নিশ্চিত নয়, উপদেষ্টা সেখ বশির আসামি বিমানবন্দরে অতিথির সম্মান পাবেন প্রবাসীরা: ড. মুহাম্মদ ইউনূস গুলশানে রাস্তা ও ফুটপাতের ২৫০টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ ফরিদপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ৫ জন আটক বন্যায় ক্ষতবিক্ষত রায়পুর-লক্ষ্মীপুর-ঢাকা মহাসড়ক , জনভোগান্তি ১২০ টাকায় পুলিশের টিআরসি নিয়োগ: পুলিশ সুপার ফরিদপুর পদ্মাসেতু থেকে শরীয়তপুর  সড়কের কাজ দ্রুত সম্পন্নের দাবীতে মানববন্ধন ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ১,৩১,৩৭৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে ‘সরকারি প্রকল্পে অপচয় রোধে সচেষ্ট থাকতে হবে’
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন

গ্রামীণ টেলিকম সিবিএ সভাপতি কামরুজ্জামান ও সম্পাদক ফিরোজ গ্রেফতার

দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
শ্রমিকদের পাওনা ২৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক- কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি কামরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গুলশান বিভাগ। এই ২৬ কোটি টাকার আত্মসাতের সঙ্গে গ্রামীণ টেলিকমের বর্তমান ও আগের এমডিসহ উর্ধ্বতন কতিপয় কর্মকর্তা এবং আইনজীবীর জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও নানা প্রলোভন ও ভয় দেখিয়ে শ্রমিকদের দমিয়ে রাখতে মধ্যস্ততাকারীর ফি হিসেবে ওই অর্থ নেওয়ার তথ্য প্রমাণ রয়েছে প্রশাসনের কাছে।

বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ঢাকা মহানগর সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

ডিবি পুলিশের এই কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, লভ্যাংশ পাওনা পরিশোধ, অতিরিক্ত অর্থ দেওয়ার প্রলোভনের পাশাপাশি গ্রামীণ টেলিকম অফিস ক্যাম্পাসে শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন গুজব ছড়ানো হতো। তারা প্রচার করতো ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার মতো হবে। ক্ষমতার পটপরিবর্তনে প্রধানমন্ত্রী হবেন গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. মুহম্মদ ইউনূস।

তখন শ্রমিকদের এসব মামলা কোনো কাজে আসবে না,শ্রমিকরা কোনো ক্ষতিপূরণও পাবেন না। বরং তাদের চাকরি হারানো ও জেল খাটাসহ অন্যান্য নির্যাতনের মুখে পড়তে হবে।’ এই ভয়ে এবং কিছুই না পাওয়ার অনিশ্চয়তায় আইনজীবীর পরামর্শে একাধিকবার সমঝোতার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে িেলকম ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও আইনজীবী বিষয়টি গোপন রাখতে চাপ দেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য জানান গ্রেফতারকৃতরা।

তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় গ্রামীণ টেলিকমের বিরুদ্ধে শ্রমিকরা পাওনা আদায় ও দাবি-দাওয়াসহ মোট ১৯০টি মামলা করেন। এসব মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আইনজীবীর মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার প্রস্তাব দেয় টেলিকম কর্তৃপক্ষ। একটা পর্যায়ে মামলা তুলে নেবেন, কোম্পানিকে দায়মুক্তি দেবেন, নিজেরা চাকরি থেকে অব্যাহতি নেবেন এবং ইউনিয়ন বিলুপ্ত করবেন,এসব কিছুর বিনিময়ে শ্রমিকরা ৪৩৭ কোটি টাকা পাবেন বলে চুক্তি হয় শ্রমিক ও গ্রামীণ টেলিকমের মধ্যে। কিন্তু সেই টাকার বড় একটি অংশ নামে- বেনামে আত্মসাৎ হয়েছে। এই অভিযোগে এক সিবিএ নেতা মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। ওই মামলা তদন্ত করছে ডিবির গুলশান টিম।

বাদী অভিযোগে উল্লেখ করেন, গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানিতে বিভিন্ন সময়ে নিয়োজিত শ্রমিক-কর্মচারীদের স্থায়ীকরণ না করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ক্রমাগত নবায়ন করে। শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী বাৎসরিক লভ্যাংশের ৫ শতাংশ অর্থ ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডবিøউপিপিএফ),শ্রমিক কল্যাণ ফান্ড এবং শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে (৮০:১০:১০ অনুপাতে) দেওয়ার কথা ছিল। তবে প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীরা স্থায়ী এবং কোম্পানি অলাভজনক- এ ধরনের কথা বলে শ্রমিকদের আইনানুগ লভ্যাংশ দেওয়া হয়নি।

ডিবি কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন আইনানুগ দাবি-দাওয়ার কারণে ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর একযোগে ৯৯ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করে গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষ। শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের স্থায়ীকরণ ও লভ্যাংশ পাওনা, বেআইনিভাবে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের পরে কোম্পানিতে পুনর্বহাল, আদালতের আদেশ অনুযাী পুনর্বহালের পরেও দায়িত্ব না দেশ্রমিক ইউনিয়ন গ্রামীণ টেলিকমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মামলা করেন। এ বিষয়ে শ্রম আদালত এবং হাইকোর্টে ১৯০টি মামলা ও রিট পিটিশন দায়ের করেন তারা। তবে তড়িঘড়ি করে অনেকটা গোপনে এসব মামলা উত্তোলন, শ্রমিকদের অর্থ দেওয়া এবং প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনা লক্ষ্য করা যায়।

ডিবির এ কর্মকর্তা আরও বলেন, গ্রামীণ টেলিকম এবং গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের মধ্যে একটি চুক্তিপত্র সই হয়। চুক্তি অনুযায়ী গত ১০ মে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় একটি সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। ২০১০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর কোম্পানির মোট লভ্যাংশের ৫ শতাংশ হারে সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্টে প্রায় ৪৩৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়। অ্যাকাউন্টটি থেকে অর্থ উত্তোলনের জন্য গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বাধ্যতামূলক দস্তখতকারী (সিগনেটরি) এবং ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অন্য দুই সিগনেটরি হিসেবে রাখা হয়।

শ্রমিকদের সব পাওনাদি ওই অ্যাকাউন্ট থেকেই পরিচালিত হওয়ার কথা। চুক্তি অনুযায়ী সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্ট থেকে শ্রমিকদের পাওনা এবং ৫ শতাংশ অগ্রিম কর ছাড়া অন্য কোনো অর্থ ছাড় করার সুযোগ নেই। এরপরও কোম্পানির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এবং ওই দুই সিবিএ নেতাসহ ইউনিয়নের কিছু নেতার যোগসাজশে ওই অ্যাকাউন্টে থাকা ৪৩৭ কোটি টাকা থেকে গত ১৭ মে এবং ২৫ মে ২৬ কোটি ২২ লাখ টাকা স্থানান্তর করা হয়। গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক ইউনিয়নের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে ওই টাকা নিয়ে আসা হয়।

গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক ইউনিয়নের ওই অ্যাকাউন্টের মোট তিনজন সিগনেটরি ছিলেন। তারা হলেন- ইউনিয়নের সভাপতি ( গ্রেফতার), সাধারণ সম্পাদক ( গ্রেফতার) এবং অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান (মামলার বাদী)। অন্যান্য শ্রমিকদের মতো টাকা পাওয়ার পরেও শ্রমিকনেতা কামরুজ্জামান, ফিরোজ মাহমুদ ও মাইনুল হাসান ইউনিয়নের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা স্থানান্তর করেন। ডাচ-বাংলা ব্যাংক এবং ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে ৩ কোটি করে মোট ৯ কোটি টাকা স্থানান্তর করে আত্মসাৎ করেন তারা। এছাড়াও ইউনিয়নের নিয়োজিত আইনজীবী অযৌক্তিক ও অতিরঞ্জিতভাবে প্রায় ১৬ কোটি টাকা ফি/পারিতোষিক নেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০৫ পূর্বাহ্ণ
  • ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ
  • ৩:৩৫ অপরাহ্ণ
  • ৫:১৪ অপরাহ্ণ
  • ৬:৩১ অপরাহ্ণ
  • ৬:২০ পূর্বাহ্ণ

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12